অ আ আবীর আকাশ সাংবাদিক লক্ষ্মীপুর:
‘শোষক নয় সেবক চায় চরশাহী ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণ। চরশাহী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ এমন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়,
যিনি নিজের স্বার্থ বিবেচনায় না এনে সবসময় গণমানুষের কথা চিন্তা করবে, পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নের কথা ভাববে, অনগ্রসরদের এগিয়ে নিবে।’ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের সাথে আলাপকালে আব্দুল আলিম নামের সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ এরকমই মতব্যক্ত করেন।
ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিগত দিনে অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠ ও নিরাপদভাবে তারা বসবাস করে আসছিল। কারণ নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা চরশাহী ইউনিয়নে অতীতে বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসীপনা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চুরি- ছিনতাই, ডাকাতি, খুন ও ধর্ষন হতো। চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের (সাবেক) সদস্য গোলজার মোহাম্মদ গত দুই সেশনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় শান্তি আসে। সব ধরনের অন্যায়, অপকর্ম থেকে শান্তির জনপদে বিরাজ করে চরশাহী ইউনিয়ন। শান্তিতে বসবাস করে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।
অন্যায়, অবিচার ও অপকর্মে বাধা দেয়ায় শত্রুতা তৈরি হয় গোলজার মোহাম্মদের। ফলে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকে দলীয় নমিনেশন দেয়া হয়নি। একটি কুচক্রী মহল গোলজার মোহাম্মাদের জনপ্রিয়তায় হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে নানারকম অপপ্রচার চালিয়েছে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য।
২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোলজার মোহাম্মদ দলীয় প্রতীক না পেলেও ইউনিয়নের সর্বস্তরে জনগণ তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়। এলাকায় ঘুরে জানা গেছে এ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আনারস প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে গোলজার মোহাম্মদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।
গোলজার মোহাম্মদ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন-‘
আমি দুই সেশন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্টের উন্নয়ন করেছি। অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। কোনোরকম অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। যারা ঘুষ খেয়ে বা অন্যায়ের সাথে সম্পৃক্ত তাদের সাবধান করেছি। জনগণের আমানতের খেয়ানত করিনি। ইনশাআল্লাহ জনগণের ভোটে আমি আনারস প্রতীকে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো।’
Leave a Reply