সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। এদিকে পেঁয়াজের বাজারে মিলেছে স্বস্তি। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা কেজিপ্রতি। বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকায়।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৭৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকা। আগের দুই সপ্তাহে মুরগির দাম কমেছিলো ক্রমাগত। এই সপ্তাহে দাম না কমলেও রয়েছে স্থিতিশীল।
এদিকে পেঁয়াজের দামে ক্রেতাদের স্বস্তি মিলেছে এই সপ্তাহে। বিক্রেতারা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৩০ টাকা। আর ছোট আকারের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। অন্যদিকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা।
মুরগি আর পেঁয়াজে স্বস্তি মিললেও সবজির বাজার এখনও রয়ে গেছে চড়া। সবজির ভরা মৌসুমেও বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীনসহ অন্যান্য সবজি। বৃদ্ধি না পেলেও আগের মতো চড়া দামেই সবজি বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারা অনেকেই জানিয়েছেন অসন্তুষ্টি।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে আগের মতো ৬০-৮০ টাকা। বরবটি এখনও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি প্রতি। শীতের পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা করে। লালশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা আর মুলাশাকের আঁটির মূল্য রয়ে গেছে ১০-১৫ টাকা করে।
অন্যান্য সবজির চড়া দামের ভেতরেও কিছুটা স্বস্তি মিলেছে আগের সপ্তাহের আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি হওয়া শসার দামে। গত সপ্তাহের ৮০ টাকার শসা এই সপ্তাহে প্রায় অর্দেক কমে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসার মতো গাজর আর টমেটোর দামও কিছুটাকমতির দিকেই। টমেটো কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। আর গাজরও একই রকম ১০-২০ টাকা কেজিপ্রতি কমে ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে।
মাছের বাজারে দামও তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বড় সাইজের এক কেজি বা তার উপরের সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০০ টাকায় আর ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিদরে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা কেজিপ্রতি। আর চিংড়ির কেজিপ্রতি দাম ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি।
Leave a Reply