মাঘের শীতের মধ্যে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকা ও কুমারখালীতে সর্বোচ্চ ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, রংপুর, রাজারহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, খেপুপাড়া ও ভোলায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবারও এই অবস্থা চলবে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।
“তবে বুধবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে।”
এবার মৌসুমে শীতের তীব্রতা অন্য বারের চেয়ে কমই ছিল। তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও তা ছিল স্বল্পকালীন এবং মৃদু থেকে মাঝারি।
এর মধ্যে গত ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন।
আবহাওয়াবিদ বজলুর বলেন, “মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে- এমন শীত এল না এবার। কয়েকদিন পর পর পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব থাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে, এসময় তাপমাত্রাও বেড়েছে। সব মিলিয়ে তুলনামুলক শীত কম পড়েছে।”
মাসের শেষ সময়ে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রা বাড়ার আভাস দেন তিনি।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে
Leave a Reply