মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর ঃ
ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চর এলাকা ভাঙ্গীডাঙ্গী গ্রামে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ‘মাজেদা বেগম দশ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র’-এ সেবা কার্যক্রম বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। এ উদ্বোধনী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ওই মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
ফরিদপুরের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা,প্রবীণ সমাজ সেবক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ।
অবহেলিত এই চরাঞ্চলে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন হা-মীম গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ।
উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রæপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, শারমীন গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, নেক্সট কালেকশনস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন ও সমকাল এর প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বর্তমান সরকার মূলধারার জনগোষ্ঠির পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিভিন্ন বিশেষায়িত উদ্যোগ গ্রহন করে চলেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি তারই একটি উদাহরন।
হা-মীম গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে আজাদ বলেন, আমারাও এক সময় এখানকার বাসিন্দা ছিলাম। তাই নিজ এলাকার নাড়ীর টানে মাজেদা বেগম দশ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র করার উদ্যোগে সর্বত্মক সহযোগিতা করছি।
ফরিদপুর সদর উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত ডিক্রীরচর ইউনিয়নের ভাঙ্গীডাঙ্গী গ্রামে এ সেবাকেন্দ্রটি ৫০শতাংশ জমির উপর নির্মিত। ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ওটি রুমসহ চিকিৎসার আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমানে এখানে একজন মেডিকেল অফিসার, সেকমো, ভিজিটরসহ ফুল টিম ২৪ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের গর্ভবতী
মা ও শিশুরা হাসপাতালটি থেকে সেবাগ্রহন করতে শুরু করেছেন। হাসপাতালের দুটি ভবনের একটিতে রয়েছে ডরমেটরী। সেখানে ৩ জন ডাক্তার ও ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
Leave a Reply