বাংলাদেশ-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ দৃঢ় এবং পুরনো। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা আজকের রাশিয়ান ফেডারেশন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। পাকিস্তান-চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে রাশিয়ার সেই অবস্থান বাঙালি জাতিকে সাহস জুগিয়েছে। এই সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বুধবার ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
শুভেচ্ছাবার্তায় পুতিন লিখেছেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। মস্কো ও ঢাকার মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার যে নিরন্তর সম্পর্ক গড়ে উঠছে তার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেছে।’
দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় ঢাকা ও মস্কোর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশের জন্মের পর ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরের দিন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও অবদান রেখেছে দেশটি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্পেও অর্থায়ন করেছে রাশিয়া।
এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী পুতিন।
তিনি লিখেছেন বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা উন্নয়নসহ দুই দেশের জনগণের স্বার্থে সঙ্গতিপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে পারব।
‘আমি আন্তরিকভাবে আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করি। সেই সঙ্গে সমস্ত বাংলাদেশের নাগরিকদেরও শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।
Leave a Reply