যখন বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জ কিরিবাতি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। দুই বছর পর সেই দেশের সৈকতে পৌঁছে গেল মহামারির ভাইরাস।
চলতি মাসেই দ্বীপ দেশটির নাগরিক মর্মন চার্চের ৫৪ খ্রিষ্টান ধর্মগুরুর জন্য সীমানা খুলে দেওয়া হয়। যাদের অনেকেই সীমানা বন্ধের আগে ধর্মীয় মিশন নিয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করছিলেন।
বাড়ি ফেরার পথে ফিজির কাছাকাছি তাদের তিনবার পরীক্ষা করা হয়। ভ্যাকসিন ও কোয়ারেন্টাইন বিধি মানা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
জানা গেছে, অর্ধেকের বেশি উড়োজাহাজ যাত্রীরই করোনা পজিটিভ। যা এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ও একে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে। শুরুতে ৩৫ পজিটিভ রোগী পাওয়া গেলেও শুক্রবার পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১৮১ জন।
এত দিন কিরিবাতি ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু দ্বীপ করোনাভাইরাসমুক্ত ছিল। ওই সব অঞ্চলের দূরত্ব ও সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ছিল করোনা ঠেকানোর মূলমন্ত্র। কিন্তু অতি সংক্রমণশীল ওমিক্রনের কারণে সেই দুর্গে আঘাত লাগলো।
এর আগে গত অক্টোবরে একইভাবে মিশনারিদের মাধ্যম টঙ্গায় করোনা ছড়ায়। তবে সম্প্রতি অগ্ন্যুপাত ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটি দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেয়।
সীমানা বন্ধের পাশাপাশি কিরিবাতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল আগেই। ১ লাখ ১৩ হাজার জনসংখ্যার দেশটির ৩৩ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি টিকা পেয়েছে, ৫৯ শতাংশ পেয়েছে কমপক্ষে একটি টিকা। অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশের মতোই কিরিবাতিতে শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যায়। পুরো দেশ জুড়ে রয়েছে মাত্র এক জোড়া নিবিড় পরিচর্যার শয্যা।
এ দিকে কিরিবাতি সরকার বৃহস্পতিবার মাছধরার অনুমতি দিয়েছে। সৈকতের কাছাকাছি এক নৌকা চারজন উঠতে পারবে।
Leave a Reply