জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তার বড় শ্যালক হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান। হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাসায় এনেছি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
দেশের প্রখ্যাত আলেম ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মার সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি স্থাপন এবং মানুষের মধ্যে সাম্য ও মৈত্রীর অনুপম বন্ধন সৃষ্টিতে মাওলানা সালাহউদ্দিনের অবদান দেদীপ্যমান হয়ে থাকবে সবার মধ্যে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর তার প্রথম জানাজা হবে। এরপর জিগাতলায় দ্বিতীয় জানাজা ও মিরপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। মরহুম সালাহউদ্দিনের অসিয়ত অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় তার একজন পীরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান হাবিবুর রহমান।
মাওলানা সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি মাওলানা সালাহউদ্দিনকে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে তিনি মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৬ সালে বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি মুহাম্মদ নুরুদ্দীন।
Leave a Reply