যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলন বলেছেন, বাংলাদেশে যাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটি বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
র্যাব সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি। আমরা লিখিতভাবে এটা জানতে চেয়েছি। তারা আমাদের চিঠির উত্তর দেবে।’
তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তখন থেকেই আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ট্রেজারি বিভাগের কাছে চিঠি দিয়ে কারণ জানতে চেয়েছি।’
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ক্ষেত্রে এর (নিষেধাজ্ঞা) কোনো প্রভাব নেই। আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এটা বলতে পারি। এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোরও কোনো সম্ভাবনা নেই।’
গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বৃহত্তর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এছাড়া বিভিন্ন গুজবের কথাও উড়িয়ে দেন তিনি।
জাতিসঙ্ঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আরো নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে- বিএনপি জামায়াতসহ কয়েকটি মহলের গুজব ছড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের গণমাধ্যমে দেয়া বিভিন্ন জবাবের উদাহরণ দেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু করেছি এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এখনও কাজ করছি। কয়েকজন ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই আমরা সম্পৃক্ত রয়েছি।’
দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তা কাজ করেনি বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার র্যাবকে সহযোগিতা করতে চায় এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করবে। এ সময় তিনি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। কেননা এটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতার গল্পের অংশীদার। ‘নিষেধাজ্ঞা কেন দেয়া হলো- সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি আমরা।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিদ্যমান উপায় বের করতে তারা আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা আইনি বিষয়গুলো দেখছি।’
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply