গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাঘ ও সিংহসহ মাংসাশী প্রাণীদের প্রতিদিন একটি গরু জবাই করে খাওয়ানো হয়। গরু জবাইয়ের পর গোশত কেটে প্রাণীদের কাছে সরবরাহ করেন পার্কের কর্মীরা। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বুধবার বিকেলে দেখা যায়, বাঘ, সিংহসহ মাংসাশী প্রাণীর জন্য পার্কের বাইরে গরু জবাই করে গাড়ি দিয়ে ভেতরে গোশত নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপর তা যাচাই-বাছাই এবং ওজন করে প্রাণীদের দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় খাদ্য তালিকায় দেখা যায়, এ দিন বাঘ ও সিংহের জন্য ১২১ কেজি গরুর গোশত দেয়া হয়েছে। তাছাড়া অন্যন্য প্রাণীর জন্য ১১ দশমিক ৫০ কেজি আপেল, ২৪০ গ্রাম নাসপতি, ৭০ কেজি পাকা কলা, ৩০০ গ্রাম লাল আঙ্গুর, ৩০০ গ্রাম সবুজ আঙ্গুর, ৪২০ গ্রাম মাল্টা, এক কেজি করে পেয়ারা ও কামরাঙ্গা, আট কেজি ৫০০ গ্রাম পাকা পেপে দেয়া হয়।
এছাড়া এ দিন এক কেজি শুকনা ধান, এক কেজি গম, দুই কেজি সূর্যমূখীর বীজ, ৩৪ কেজি সোয়াবিন, দুই কেজি চিনাবাদাম, ৬৭ কেজি ভুট্টাভাঙ্গা, ১০০ কেজি গমের ভূষি, ১৮ কেজি ছোলা, ১০০ গ্রাম শুকনা মরিচ, ৪৫ কেজি লালশাক, ৩৫ কেজি শশা, ২০ কেজি বরবটি, ১৭০ কেজি গাজর, ১৪৫ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ১ কেজি শিম, ১০ কেজি মিষ্টি আলু, ৩৮ কেজি পোল্ট্রি ফিড, আট কেজি পাউরুটি, চার কেজি লবণ, ২৫০ গ্রাম মধু, দুই কেজি পপকর্ন, ৪৪টি ডিম, তিন হাজার ৫০ কেজি ভুট্টা ঘাস এবং ৬৫০ কেজি কলাগাছ নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন মাংসাশী প্রাণীর জন্য সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি গোশত বরাদ্দ আছে। তবে একটি গরু জবাই করলে অনেক সময় ১০০ বা ১২০ কেজি হয়। তাই গরু জবাই করার পর গোশত কেটে তা ওজন করা হয়। অন্য খাবারগুলোও ওজন করে বুঝে নেয়া হয়।
Leave a Reply