1. admin@thedailypadma.com : admin :
দালালের খপ্পড়ে ইতালির পথে নিখোঁজ ফরিদপুরের ৩ বন্ধু - দ্য ডেইলি পদ্মা
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শহীদ জিয়া ছিলেন সব ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপোষহীন, নির্ভিক যোদ্ধা: মির্জা ফখরুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তের ঘটনাটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ হয়তো আমরা আর বেশি দিন নেই কিন্তু চোরদের নির্বাচিত করবেন না: নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি কাল মা খা‌লেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন ছেলে তা‌রেক রহমান জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১৮ জানুয়ারি আগামীতে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি আরও সংকটের মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা আছে: বিশ্বব্যাংক

দালালের খপ্পড়ে ইতালির পথে নিখোঁজ ফরিদপুরের ৩ বন্ধু

  • Update Time : শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৪৬ Time View

মাহবুব পিয়াল , ফরিদপুর: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিদেশে ভালো বেতনে কাজের আশায় যেকোন উপায়েই হোক স্বপ্নের দেশ ইতালিতে  যেতে চেয়েছিলো ৩ তরুণ। পাশের গ্রামের দুই প্রবাসী যুবকের সাথে এজন্য ৩০ লাখ টাকায় চুক্তিও হয়। এরমধ্যে অভিভাবকেরা ২৪ লাখ টাকা দিয়েছে দালালদের। বাকি টাকা দেয়ারও প্রস্তুতি চলছিলো। কিন্তু এরইমধ্যে লিবিয়ায় একটি ঘরে বন্দি হওয়ার পর নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে গত এক সপ্তাহ যাবত তাদের কোন খোঁজ নেই। এনিয়ে পরিবারের লোকেরা অজানা আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

নিখোঁজ এই তিন তরুণ হলো, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের  ফারুক মাতুব্বরের ছেলে মইন মাতুব্বর ওরফে ফয়সাল (১৮), ইউনুস শেখের ছেলে সামিউল শেখ (১৯) ও মাজেদ মিয়ার ছেলে নাজমুল মিয়া (২২)।

ফয়সালের বাবা ফারুক মাতুব্বর বলেন, তার ছেলেসহ তিনজনকে ৩০ লাখ টাকায় ইতালি নিয়ে যাবে বলে কথা হয়েছিলো পাশের নাউডুবি গ্রামের দুই প্রবাসী শওকত চৌধুরী ও রাসেল মিয়া (২৪)। তিনি বলেন, এজন্য ২৪ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি শওকতের ভাই ইলিয়াস চৌধুরী ও রাসেলের ভাই শাহিনকে। ব্যাংকের মাধ্যমে কেনো টাকা দেননি এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরিবিল তাদের বিদেশ পাঠানো হবে তাই ব্যাংকের বদলে নগদ টাকা দিতে বলে। তিনি নিজেই ইলিয়াসের হাতে টাকা তুলে দেন।

নাউডুবি গ্রামের শওকত ও রাসেল আপন চাচাতো ভাই। ফারুক মাতুব্বরের মামাতো ভাইয়ের ছেলে তারা। লিবিয়ায় গেছেন ৪ বছর আগে।  এ তথ্য জানিয়ে ফারুক মাতুব্বর বলেন, এর আগেও তারা তিনজনকে এভাবে ইতালি নিয়ে যায়। পরিচিত ও আত্মিয় বিধায় তাদের প্রতি বিশ্বাস জন্মে। গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বিমানযোগে ফয়সাল, নাজমুল ও সামিউলকে নিয়ে যায় লিবিয়ার একটি শহরে। তারপর তাদের দ্রুতই ইতালি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানায় দালালেরা। এজন্য বাকি ৬ লাখ টাকা রেডি রাখতে বলে। সর্বশেষ ২৭ জানুয়ারি রাত ১০ টার দিকে ফয়সালের সাথে তার কথা হয়। এসময় ফয়সাল ও তার বন্ধুরা ভয় পাচ্ছিলো।

সাগরের পাড়ে নিয়ে আসছে। মনে হয় নৌকায় উঠাবে। তোমরা দোয়া কইরো আমাদের জন্য।’  ছেলের কন্ঠে সর্বশেষ এ কথাই শুনতে পেয়েছেন ফারুক।

ফয়সালের সাথে এভাবে ইতালি যেতে লিবিয়ায় আটকদের একজন নাজমুল৷ তার ভাই সম্রাট বলেন, শওকত ও রাসেল তার ভাইদের বডি কন্টাক্টে ইতালি নিয়ে যাবে বলেছিল। বডি কন্টাক্ট মানে কি? এর জবাবে সম্রাট বলেন, লিবিয়া যাওয়ার পথে যতোবার ধরা খাবে ততোবার ওরা ফেরত আনবে। ওদের বডি যেকোন উপায়ে ইতালি পৌছে দেবে। ওদের হান্ড্রেড পারসেন্ট ইতালি নিয়ে যাওয়ার দ্বায়িত্ব তাদের। যতো টাকাই লাগুক এতে।

সম্রাট জানায়, তিনমাস আগে লিবিয়ান শহরে গেছে। তারপর গেম ঘরে রাখছে। আমাদের একটা আত্মবিশ্বাস ছিলো যেহেতু ওরা ওই দেশে আছে তাই ওরা হয়তো ওদের ইতালি নিতে পারবে। সর্বশেষ তার ভাই তাদের বলেছিলো, গেম ঘর থেকে সাগর পাড়ে নিয়ে যাইতেছে। ১ থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে বোটে উঠাবে। আমরা ওদের ভরসা দেই। আল্লাহর নামে বোটে উঠতে বলি। কোন সমস্যা হবেনা তাও বলি।

সম্রাট জানান, ২৭ জানুয়ারির পর প্রথমদিকে দালালরা এমনও বলেছিলো যে, তার ভাইয়েরা ইতালি পৌছে গেছে। বাকি টাকা রেডি রাখতে বলছিলো। শেষে বলেছে, ওরা মাল্টা থেকে ধরা খাইছে। থামছাথামছা জেলে আছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওরা নিশ্চিত করে যে, ওরা তিনজন থামছা থামছা জেলে আছে। এরপর ওরা সামিয়ুলের একটা ভয়েস রেকর্ড পাঠায়। যেখানে সামিউল বলছে, কষ্টে আছে, আমাদের বাঁচাও।’

সম্রাট বলেন, শুক্রবার ওই তিন যুবকের সাথে দেশে পরিবারের লোকদের কথা বলিয়ে দেবে বলেছিল। এদিন তারা পাশের নাউডুবি গ্রামে দালাল শওকত ও রাসেলের বাড়িতে যান। সেখানে যেয়ে দেখেন ওদের বাড়িতে কেউ নেই। এমনকি গরু ছাগল হাস মুরগি কিছুই নাই।

ফারুক মাতুব্বর এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি থানার ওসিকে জানিয়েছেন। প্রয়োজন হলেআইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এবিষয় নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা মৌখিকভাবে বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews