ফরিদপুরে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুদকের মামলায় চার ভাইকে দোষী কারাদন্ডসহ আর্থিক দন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার রায়ে ওই চার ভাইকে ১৮৬০ সালের ৪৬৭ ধারায় (জাল জালিয়াতি) দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে দুই বছর করে স্বশ্রম কারাদন্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। ৪৭১ ধারায় (প্রতারণা) দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
আদালতের রায় অনুযায়ী আসামিরা দুই দন্ড এক সাথে ভোগ করতে পারবেন এবং হাজতবাসকালীন সময় এ কারাদন্ডের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত চার ভাই হলেন, মো. সাইদুর কবীর ওরফে মুকুল, মো. সাইফুল কবীর ওরফে রোমান, মো. জাহিদুল কবির ওরফে বিপ্লব ও মো. রেজাউল কবীর ওরফে তুহিন। এরা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরঠেঙ্গামারা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
এ মামলার পিপি কুব্বাত হোসেন জানান, আসামি চার ভায়ের পিতা লাল মিয়া ছিলেন আব্দুস সামাদের পালক ছেলে। তার পালক মা পালক পুত্র হিসেবে তাকে একটি জমি লিখে দেন। কিন্তু লাল মিয়া রেজিস্ট্রি অফিসের বালাম বই টেম্পারিং করে পালক পুত্রের জায়গায় নিজ পুত্র লিখে সকল জমি আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় মৃত আব্দুস সামাদের প্রকৃত ছেলে আব্দুর রউফ বাদী হয়ে গত ২০১১ সালের ২১ আগস্ট মাদারীপুর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। গত ২০১৬ সালে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দুদক ফরিদপুর লাভ করে। দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারি পরিচালক মো. ফজলুর বারী মামলাটি তদন্ত করে সাত জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এ মামলা মোট আসামি ছিলেন সাতজন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মাদারীপুরের রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সাবেক রেকর্ড কিপার আবু জাফর মিয়া, ওই কার্যালয়ের নকলনবিশ মাহমুদা বেগম ও তুলনাকারী পারভীনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
Leave a Reply