সব মার্কিন নাগরিককে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সেখানে রুশ সামরিক হামলার আশংকা আরও বেড়ে গেছে। তিনি বলেছেন, মস্কো যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, তাহলে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে তিনি সেখানে কোন সৈন্য পাঠাবেন না।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরতে এ সময়সীমা বেধে দেয়া হয়।
এর আগে নিজ দেশের নাগরকিদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশনা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করলে আমেরিকানদের উদ্ধারে সেনা পাঠাবেন না বলেও বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রুশ বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই বলতে পারবো না, তবে সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেছে।
রাশিয়ার এক লাখ সৈন্য ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করলেও আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলছে মস্কো। শুধু তাই নয় রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মইত্রো কুলেবা অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী আজভ সাগর অবরোধ করে রেখেছে এবং কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের শিগগির ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। একই ঘোষণা দিয়েছে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস ও লাটভিয়া সরকার।
পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ক্রেমলিন বলছে যে তারা পুরোনো সোভিয়েত প্রতিবেশী যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় তা নিশ্চিত করতে শুধু সতর্ক বার্তা দিচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply