রাশিয়া মঙ্গলবার বলেছে, দেশটি ইউক্রেন সীমান্তের কাছে থাকা তাদের কিছু সেনাকে ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নিচ্ছে। পশ্চিমের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংকটের মধ্যে এটাই উত্তেজনা হ্রাসের পথে প্রথম বড় পদক্ষেপ।
ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে মস্কোর এক লাখ সেনা মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ হামলা এড়াতে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।
রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা ও পর্যবেক্ষকের মতে এটি শীতল যুদ্ধের অবসানের পর থেকে রাশিয়া এবং পশ্চিমের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংকট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি কর্মকর্তারা কয়েক দিন ধরে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার হামলা যেকোনো সময় সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ আজ মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এখনো সমর প্রস্তুতি হ্রাসের প্রমাণ দেখেননি তবে মস্কোর এই সংকেত কিছুটা আশাবাদ যোগায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবারই বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন থাকা তাদের কিছুসংখ্যক সেনা মহড়া শেষ করে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটা উত্তেজনা হ্রাসের আশা জাগিয়েছে।
তবে কিন্তু রাশিয়ার সামরিক মহড়া অব্যাহত থাকবে কিনা এবং ঠিক কতগুলো সেনা ইউনিট প্রত্যাহার করা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার দেশ ইউরোপে যুদ্ধ চায় না। একইসঙ্গে তিনি পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাকামী রুশপন্থী এলাকায় ‘গণহত্যা’ চলার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে পুতিন এর কোনো প্রমাণ দেখাননি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রুশ সেনা প্রত্যাহারের খবরে বলেছেন, ‘রাশিয়া থেকে মিশ্র সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেন বিষয়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য এখনো উৎসাহব্যঞ্জক নয়‘।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা রাশিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তবে সতর্ক করে এ-ও বলেছে, যুদ্ধ হলে জার্মানি পর্যন্ত যাওয়া রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপ লাইনটি ‘চালু করা হবে না। ’ সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply