২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন হবে। ২০২৪ সাল থেকে মাধ্যমিকে ৯ম শ্রেণিতে থাকবে না বিভাগ (আর্টস, কমার্স, সায়েন্স) বিভাজন।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এনসিটিবিতে নতুন কারিকুলামের বই উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু জ্ঞান নয়; এর সাথে দক্ষতা অর্জনই মূলত নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য।
বর্তমানে পাইলটিং চলবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়িত হবে। এটা সফল হতে পারলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। আর ২০২৪ সালে এসে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও এটি বাস্তবায়িত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রস্তাবে বলা হয়, ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো ক্ষতি হবে না। ২০২০ সালে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছিল এনসিটিবি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যেকোনো সময়ই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেছিল।
বর্তমানে বিদ্যমান সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ, অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন ছুটি থাকলেও শিক্ষার্থীদের বাসার যে কাজ দেওয়া হয়, তাতে লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সিদ্ধান্ত। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল সপ্তাহে দুই দিন ছুটি চালু রেখেছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমে যাবে।
Leave a Reply