ইউক্রেন সীমান্তের কাছে দেড় লাখের বেশি রাশিয়ান সেনা অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা যেকোনো সময় হামলা হতে পারে ইউক্রেনে। ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন।
দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ এই সিধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেক্সি দানিলভ বলেন, প্রত্যক অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে শুধু দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ছাড়া।
তিনি জানান, এই জরুরি অবস্থা প্রাথমিকভাবে ৩০ দিন স্থায়ী হবে। তবে এই প্রস্তাব ইউক্রেনের পার্লামেন্টে পাস হতে হবে।
গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এই দুই অঞ্চলে ইতোমধ্যে রুশপন্থী বিদ্রোহী ও ইউক্রেন সেনাবাহিনী যুদ্ধাবস্থায়।
এদিকে আজ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পুরোমাত্রার হামলা সম্ভবত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হতে পারে।
সংকটের শুরু যেভাবে
ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকট ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনা দুই মাসের বেশি সময় ধরে ফুঁসছে। এই সংকট সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় অগ্রগতির তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইউক্রেন সীমান্তে দেড় লাখের বেশি সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া।
মস্কোর এমন রণসজ্জায় পশ্চিমারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে। তবে ইউক্রেনে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে মস্কো বলেছে, তারা ন্যাটো জোটের মিত্রদের আগ্রাসনের জবাব দিচ্ছে। পশ্চিমাদের ওই সতর্কবার্তাকে ‘মৃগীরোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।
নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান ঠেকানোর লক্ষ্যে কিয়েভের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অত্যাসন্ন আশঙ্কায় যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা। ইতোমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা অনেক দেশ ও তাদের মিত্ররা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
Leave a Reply