টানা ৪২ বছর এক হাজার করে টাকা জমা রাখলে মাস শেষে পেনশন মিলবে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ভার্চুয়ালি এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরও বিস্তারিত জানাতে পারব। পর্যায়ক্রমে আমরা বাস্তবায়নে যাব। এখানে অনেক কিছু সংযোজন-বিয়োজন আছে। আজ শুধু মৌলিক ধারণাগুলো তুলে ধরছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি ঐচ্ছিক থাকবে, পরবর্তীতে বাধ্যতামূলক করা হবে।
প্রাথমিক হিসাব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা, মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ ধরা হয়, তাহলে ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা প্রদান শুরু করে এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আর যদি ৩০ বছর বয়সে চাঁদা প্রদান শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে, তাহলে অবসরের পর প্রতিমাসে ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা পেনশন পাবেন। তবে চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার টাকার বেশি হলে আনুপাতিক হারে পেনশনের পরিমাণও বেশি হবে। এটি একটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত চিত্র আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর জানা যাবে।’
Leave a Reply