মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের তেলীডাঙ্গি গ্রামে আতিয়ার রহমান (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, গত রাতের কোন এক সময়ে দূর্বৃত্তরা তার ঘরে প্রবেশ করে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে চরভদ্রাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে।
চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রায়াত মোশাররফ হোসেন ভিপি মুসার ভাই এবং শেখ হোসেনের পুত্র নিহত আতাউর।
ঘটনার বিবরনে স্থানীয় শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন(৫৫)জানায়, প্রতিদিনের মতন ঐ বাড়ি সংলগ্ন তার শশ্য ক্ষেত দেখতে যান তিনি।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আতাহারের ঘরের দরজা-জানাল বন্ধ ও বাহিরে লাইট জ্বলতে দেখেন।পরে তিনি অনেক ডাকাডাকি করে কোন সারা না পেয়ে জানালার টিন সরিয়ে খাটের উপর আতাহারকে পরে থাকতে দেখেন।পরে প্রতিবেশি রঞ্জিত ব্যাপরি নামে এক যুবককে বাশেঁর সাহায্যে দোতলা বিল্ডিংয়ের ছাদ দিয়ে ভেতরে পাঠান।রঞ্জিত ঘরে ঢুকে নিচতলায় বিছানার উপর চাদরে ঢাকা অবস্থায় আতাহারের নিথর দেহ পরে থাকতে দেখেন।দরজা খুলে মোয়াজ্জে ভিতরে ডুকে চাদর সরিয়ে আতাহারে দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখেন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলীকে ঘটনাটি জানান।
এ ঘটনায় গাজিরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, নিহত আতিয়ারের মাথায় গভীর আঘাত রয়েছে, সেখান দিয়ে এখনো রক্ত ঝড়ছে। তিনি আরো জানান, বেলা ১১ টা পর্যন্ত বাড়ির দরজা না খোলায় আশে পাশের লোকজন ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে বাড়ির ছাদ দিয়ে লোক ঢুকিয়ে দরজা খোলা হয়। পরে আমাকে জানালে আমি থানার ওসি সাহেবকে জানাই। তিনি আরো বলেন, পরিবারের লোকজন বেড়াতে যাওয়ায় বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী মোছা. শিপন বলেন, জমি জমা নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এর যের ধরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গত রাতে বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন বলে জানান তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে এক ছেলে শিহাব ও মেয়ে জান্নাতুল তাসমিমকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আজ সকালে তার স্বামী হত্যার খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।
চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইন চার্জ চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, জেলা থেকে ডিবি পুলিশ এসেছে, সিআইড ক্রাইম সিন সংগ্রহ করা শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসি।
Leave a Reply