রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তারা রাশিয়ার হামলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইউক্রেন কি আদৌ পারবে রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে।
সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়া কতটা এগিয়ে সেই হিসাব দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক
শক্তি পর্যবেক্ষণকারী গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী—
সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বের ১৪০ দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়; যেখানে ইউক্রেন ২২তম।
রাশিয়ার সৈন্য সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার, আর ইউক্রেনের সৈন্য সংখ্যা ২ লাখ। তবে উভয় দেশের রিজার্ভ সেনা রয়েছে আরও আড়াই লাখ।
রাশিয়া সামরিক খাতে প্রতি বছর ব্যয় করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার; ইউক্রেনের ১ হাজার ১৮৭ কোটি ডলার।
রাশিয়ার আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আড়াই লাখ, তবে ইউক্রেনের রয়েছে মাত্র ৫০ হাজার।
রাশিয়ার মোট সামরিক আকাশযান রয়েছে ৪ হাজার ১৭৩টি, ইউক্রেনের ৩১৮টি। রাশিয়ার যুদ্ধবিমার রয়েছে ৭৭২টি; ইউক্রেনের ৬৯টি। রাশিয়ার আক্রমণকারী বিমান রাশিয়ার রয়েছে ৭৩৯টি, ইউক্রেনের ২৯টি।
রাশিয়ার পরিবহণ বিমান ৪৪৫টি; ইউক্রেনের মাত্র ৩২টি। রাশিয়ার মোট হেলিকপ্টার রয়েছে ১,৫৪৩টি, যেখানে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৪৪টি। অন্যদিকে ইউক্রেনের হেলিকপ্টার রয়েছে ১১২টি, অ্যাটাক কপ্টার ৩৪টি।
রাশিয়ার ট্যাংক রয়েছে ১২ হাজার ৪২০টি; ইউক্রেনের ২ হাজার ৫৯৬টি। আমর্ড ভেহিকেল রাশিয়ার ৩০ হাজার ১২২টি; ইউক্রেনের ১২ হাজার ৩০৩টি। রাশিয়ার স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি আছে ৬ হাজার ৫৭৪টি; ইউক্রেনের আছে ১ হাজার ৬৭টি।
রাশিয়ার মোবাইল রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৩ হাজার ৩৯১টি; ইউক্রেনের আছে ৪৯০টি।
রাশিয়ার নৌ সামরিক যান ৬০৫টি; ইউক্রেনের ৩৮টি। রাশিয়ার একটি বিমানবাহী রণতরী থাকলেও ইউক্রেনের এরকম কোনো রণতরী নেই। তেমনি রাশিয়ার ৭০টি সাবমেরিন থাকলেও ইউক্রেনের কোনো সাবমেরিন নেই। রাশিয়ার রয়েছে ১৫টি ডেস্ট্রয়ার থাকলেও ইউক্রেনের সেটি নেই।
রাশিয়ার ১১টি ফ্রিগেট আছে; ইউক্রেনের আছে মাত্র ১টি। মাইন ওয়ারফেয়ার নৌযান ইউক্রেনের একটা থাকলেও রাশিয়ার রয়েছে ৪৯টি।
রাশিয়ার করভেট রয়েছে ৮৬টি; ইউক্রেনের আছে মাত্র ১টি। রাশিয়ার পেট্রোল ভেসেল রয়েছে ৫৯টি; ইউক্রেনের ১৩টি।
এছাড়া রাশিয়ার ১ হাজার ২১৮টি বিমানবন্দর রয়েছে; ইউক্রেনের ১৮৭টি। বাণিজ্যিক জাহাজ রাশিয়ার ২ হাজার ৮৭৩টি; ইউক্রেনের ৪০৯টি। এর বাইরে রাশিয়ার এস-৪০০ নামের অত্যন্ত শক্তিশালী মিসাইল সিস্টেম আছে এবং এটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। কিন্তু ইউক্রেনের এ রকম কোনো অস্ত্র নেই।
Leave a Reply