রাশিয়ার হামলার পর থেকে ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে রুশ সেনা হতাহত ও সামরিক সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র দিয়েছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, বৃহস্পতিবার ভোরে হামলার পর থেকে রুশ বাহিনীর ৮০০ সেনা ‘হতাহত’ করতে সক্ষম হয়েছে তাদের সশস্ত্র বাহিনী।
সিএনএন বলছে, এই সংখ্যা কেবল নিহত রুশ সেনাদের সংখ্যা কি-না এটা পরিষ্কার নয়।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ৩০টি ট্যাংক ধ্বংস, সাতটি যুদ্ধবিমান ও ছয়টি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।
তবে এসব তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি সিএনএন।
রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৩৭ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ নির্দেশের পরই কিয়েভসহ ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা শুরু হয়। একপর্যায়ে তিন দিক থেকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ বাহিনী।
রাজধানী কিয়েভের কাছে বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ প্যারাট্রুপাররা। এছাড়া চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা।
আরেকটি রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। শুক্রবার সকালে কিয়েভে হামলা চালানোর সময় যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কিয়েভের দার্নিতস্কি জেলায় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটি একটি নয়তলা অ্যাপার্টমেন্টের ওপর বিধ্বস্ত হলে এতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
এদিকে হামলার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছিল ইউক্রেন। অবশ্য এ দাবি নাকচ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে শুক্রবার দিনের শুরুতে রাজধানী কিয়েভে কমপক্ষে তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়:
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধানের উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো টেক্সট মেসেজে রিপোর্টারদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে কিয়েভে হামলা শুরু হয়েছে। আমি বিকট দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
কিয়েভ থেকে সিএনএন টিম জানায়, শুক্রবার প্রথম কয়েক ঘণ্টায় মধ্য কিয়েভে দুটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং কিছুটা ব্যবধানে তৃতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, অভিযানে তাদের প্রথম দিনের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। প্রথম দিন ৭০টি সামরিক স্থাপনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
Leave a Reply