আগের ম্যাচে জয় পেলেও ব্যাটিং ধ্বসের আক্ষেপে পুড়তে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যনরা যেন সব আক্রোশ ঝাড়লেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে। লিটন কুমার দাস করলেন সেঞ্চুরি, মুশফিক সেঞ্চুরি করতে না পারলেও বেশ ভালো সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সেটির। তাদের দুজনের ওপর ভর করেই পাহাড়ে উঠলো বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৬ রান।
গত ম্যাচের ব্যাটিংয়ের শুরুটা একেবারে বাজে হলেও আজ শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ছিলেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। আগের দিন দ্রুত উইকেট হারানো বাংলাদেশ আজ প্রথম পাঁচ ওভারে কনো উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলে ৩০ রান। লিটন কিছুটা নড়বড়ে শুরু করলেও তামিম ছিলেন বেশ শান্ত। তবে সপ্তম ওভারে এসে ফআজল হক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক।
তিন নাম্বারে নামা সাকিব আল হাসানও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি অবশ্য। ৩৬ বলে ২০ রান করে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। এরপরেই ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। পরের গল্পটা শুধুই লিটন আর মুশফিকের। দুজন মিলে এদিন শাসন করেছেন আফগান বোলারদের।
প্রথমে ধীরস্থির থাকলেও খেলার সময়ত বাড়ার সাথে সাথে ব্যাটিংয়ের ধার বাড়ান দুই উইকেটকিপারই। শেষ পর্যন্ত ১৬ চার আর দুই ছয়ে ১২৬ বলে ১৩৬ করে থামেন লিটন। ফরিদের বলে মুজিবের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে মুশফিকের সাথে মিলে গড়েন ২০২ রানের জুটি।
লিটন ফেরার পর টিকতে পারেননি মুশফিকও। লিটনের আউটের পরের বলেই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯৩ বলে ৮৬ করে ফরিদের বলেই ফিরে যান মুশফিক। তার ইনিংসে কোন ছয় না থাকলেও ছিলো নয়টি চারের মার। ৪৬.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৮৫।
মাহমুদুল্লাহ আর আফিফ মিলে শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের হয়ে তোলেন ২১ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাঙ্গালদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৬ রান।
Leave a Reply