1. admin@thedailypadma.com : admin :
ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের সাথেই চেচেন সৈন্য সৈন্যদের অভিযানে পাঠিয়েছেন: প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ - দ্য ডেইলি পদ্মা
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের সাথেই চেচেন সৈন্য সৈন্যদের অভিযানে পাঠিয়েছেন: প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ

  • Update Time : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১২৩ Time View

রাশিয়ার অধীন চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের সাথেই তিনি তার সৈন্যদের অভিযানে পাঠিয়েছেন।

বৃহ্স্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই কথা বলেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, রুশ সৈন্যদের সাথে চেচেন সৈন্যরাও সফলতার সাথে অভিযানে অংশ নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত চেচেন সৈন্যদের মধ্যে কেউ হতাহত হয়নি।

তিনি বলেন, রুশ সৈন্যরা সহজেই কিয়েভসহ ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে কিন্তু ব্যপকমাত্রায় জীবনহানি এড়াতেই তারা ধীরে এগুচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তায় রুশ স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে পূর্ণমাত্রায় অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে সোমবার বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় রুশ সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর রাশিয়া দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া অঞ্চলটি দখল করে নেয়। পাশাপাশি মস্কোর পৃষ্ঠপোষকতায় পূর্ব ইউক্রেনে বিপুল অঞ্চল দখল করে নেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই সংঘর্ষ বন্ধে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় ২০১৪ সালে বেলারুশের মিনস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়া এক চুক্তি করে।

মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় ও দোনবাস অঞ্চল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার বিষয় যুক্ত ছিলো। দোনবাস অঞ্চল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা সরে গেলে ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গণভোটের ব্যবস্থা করবে।

কিন্তু পরস্পরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগের জেরে এই চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি।

এরই মধ্যে ২০২০ সালে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের ন্যাটো সামরিক জোটের ‘ইনহ্যান্সড অপারচুনিটি পার্টনার’ পদ পেলে রাশিয়া ক্ষুব্ধ হয়। নিজ দেশের সীমান্তে ন্যাটোর সম্প্রসারণের শঙ্কায় রাশিয়া ইউক্রেনের যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক জোটে যোগ দেয়ার বিরোধিতা করছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের পর উত্তেজনা নতুন করে বাড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক লাখ সৈন্য ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করেছে মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইউক্রেনে হামলার জন্যই রাশিয়া ওই সৈন্য সমাবেশ করেছে। কিন্তু রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, সামরিক বাহিনীর মহড়ার অংশ হিসেবে ওই সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে।

পরে কিছু সৈন্য সরিয়ে নেয়ারও ঘোষণা দেয় রাশিয়া।

পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সাথে শুরু হওয়া ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়ার এই পদক্ষেপের জেরে দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন প্রকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রুশ আগ্রাসনে অন্তত ১৯৮ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews