গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনে হামলা চালানোর পাশাপাশি দেশটির তরুণীদের ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে উক্ত্যক্ত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েট দ্য সান।
ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে ‘প্লেস’ নামে একটি ফিচার রয়েছে। এই ফিচারের সাহায্যে কাছাকাছি অবস্থান করা ব্যক্তিদের সঙ্গে ম্যাচমেকিং করা এবং তাদের মেসেজ পাঠানো যায়।
দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক রুশ সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে প্রবেশ করার পর টিন্ডার অ্যাপ ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় নারীদের আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। রুশ সেনাদের মুঠোফোন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার আগপর্যন্ত টিন্ডারে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা।
জানা গেছে, অ্যান্ড্রেই, অ্যালেক্সান্ডার, গ্রেগরি, মিশেইল, ব্ল্যাক- এমন বিভিন্ন নামের রাশিয়ান প্রোফাইল থেকে ইউক্রেনের তরুণীদের মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তরুণীদের আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের ছবিও আপলোড করা হয়। ছবিগুলোতে যুদ্ধের পোশাক পরে পোজ দিতে দেখা যায় রুশ সেনাদের। অনেকে আবার অশালীন ছবিও পাঠিয়েছেন।
রুশ সেনাদের ঝাঁকে ঝাঁকে প্রেম নিবেদন ও শয্যাসঙ্গী হওয়ার অফার এড়াতে ইউক্রেনের অনেক নারীরা তাই ঠিকানা বদলে দিয়েছেন তাদের টিন্ডার অ্যাপে।
রুশ সেনাদের লালসা থেকে শরীর বাঁচাতে ইউক্রেনের নারীরা তাই ঠিকানা বদলে দিচ্ছেন তাদের টিন্ডার অ্যাপে। কিন্তু তাতেও কতটা রক্ষা পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না। কারণ, চারদিকে শত্রু শিবিরের সামরিক বাহিনী। আর তার মধ্যেই মিশে রয়েছে লোলুপ চোখ।
রুশ সৈনিকদের ডেটিং আবদার আসতে শুরু করার পরেই টিন্ডারের মহিলা গ্রাহকরা সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। রাজধানী কিভের পরেই ইউক্রেনের বড় শহর খারকিভ। এখন কিয়েভের মেয়েরা সম্ভ্রম বাঁচাতে এখনও পর্যন্ত কিছুটা নিরাপদ খারকিভকে ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
দলে দলে মেয়েরা টিন্ডারের সেটিংসে গিয়ে লোকেশন বদলে খারকিভ করে দিচ্ছেন। ইউক্রেনের ভিডিও প্রযোজক ডাসা সিনলেনিকোভা বলেন, আমি আসলে কিভের বাসিন্দা। কিন্তু এখন টিন্ডারে ঠিকানা বদলে খারকিভ করে দিয়েছি। কারণ, আমার এক বন্ধুর কাছে জানতে পেরেছি টিন্ডার ছেয়ে রয়েছে রাশিয়ার সেনা।
সিনেলনিকোভা বলেন, ‘রুশ সেনারা বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগে যে, এরাই আবার আমাদের দেশ আক্রমণে যুক্ত। তবে আমি মনে করি এইভাবে ওরা আমাদের কাছে টানতে পারবে না। আর শত্রুকে শয্যাসঙ্গী করার কথা তো কখনো ভাবতেই পারব না।’
Leave a Reply