ফরিদপুর সালথায় উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নাবী পাটবীজ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে সাধারণ চাষীরা। চলতি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পরীক্ষামূলক ভাবে এই নাবী পাটবীজ চাষ করে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চাষীরা। ফলে আগামী মৌসুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এই নাবী পাটবীজ চাষে সাধারণ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
বিদেশি পাট বীজ কিনে প্রতারিত না হয়ে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত দেশীয় নাবী পাট বীজের মাধ্যমে পাট আবাদ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ২০১৬ সাল থেকে দেশী বীজ দিয়ে পাট চাষ করে কৃষক লাভবান হবার পর দেশী বীজের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও বিতরণের ওপর জোর দিয়েছে কৃষি বিভাগ। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন সম্প্রসারিত হলে পাটবীজে আমদানি নির্ভরতা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে মত কৃষিবিদদের।
এরই ধারাবাহিকতায়, “উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় নাবী পাট বীজ প্রকল্প না থাকায় পার্শ্ববর্তী ২টি উপজেলা হতে কিছু বীজ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ এনে অত্র উপজেলায় উপ সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ একর জমিতে ৫০ জন চাষীর মাঝে নাবী পাট বীজ প্রদান করেন। বীজ প্রদান করার পর খোঁজ-খবর রেখেছেন নিয়মিত। দিয়েছেন সার কীটনাশক, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
এরই ফসল হিসাবে কৃষক হাসি মুখে ঘরে তুলছে কালো রংয়ের নাবী পাটের বীজ। যা ইতিপূর্বে সালথায় লক্ষ্য করা যায়নি। পাটবীজ বপন থেকে শুরু করে উপজেলা উপসহকারী পাট কর্মকর্তা আব্দুল বারীকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে দেখা যায়। পাটবীজ ঘরে তোলার পরও তিনি তার তত্বাবধানে সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে দেখা যায় কৃষকেরা সাচ্ছনন্দে তাদের উৎপাদিত নাবী পাটবীজ ২শ টাকা দরে বিক্রি করছে। এতে কৃষক একদিকে যেমন অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করছে অন্যদিকে আগামী মৌসুমে এই পাটবীজ উৎপাদনে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি সৃজনে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন নাবী পাটবীজ উৎপাদনকারী কৃষকের কাছ থেকে কেজি প্রতি ২শ টাকা হারে প্রায় ৫০০ কেজি পাট বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা পরিমাপ পূর্বক প্যাকেটজাত করন করা হচ্ছে।
উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী বলেন, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় অত্র উপজেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ একর জমিতে প্রায় ২১শ কেজি বীজ উৎপাদন হয়েছে। এমতাবস্থায় উৎপাদিত পাট বীজ নিয়ে যাতে কৃষকেরা চিন্তায় না পরে এবং খুশি মনে পাট বীজ বিক্রয় করতে পারে তাই আমরা উপজেলার পক্ষ থেকে পাটবীজ সংগ্রহ করেছি। এছাড়াও এ বছর আমাদের উপজেলায় বাজেট না থাকা স্বত্বেও পাশের উপজেলা হতে বীজ এনে সফল ভাবে চাষ করতে সক্ষম হয়েছি। পাট অধিদপ্তর বরাবর সালথা উপজেলার পক্ষ থেকে আবেদন করেছে যাতে আগামী বছর এ উপজেলায় নাবী পাট বীজ করার জন্য বাজেট দেও
Leave a Reply