উক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করায় পশ্চিমাদের সমালোচনা ও অর্থনৈতিক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রাশিয়া। বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাসহ একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও।
আর এবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তায়কোয়ান্দো খেলার বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড তায়কোয়ান্দো এই ঘোষণা দিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে একজন তায়কোয়ান্দো ব্ল্যাক বেল্টধারী। তবে এটি তিনি ক্রীড়া দক্ষতায় অর্জন করেননি। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সম্মান জানাতেই সম্মানসূচক ব্ল্যাক বেল্ট পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সেটি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওয়ার্ল্ড তায়কোয়ান্দো আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মতো তারাও তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার পতাকা এবং জাতীয় সংগীত ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে।
এর আগে ‘রাশিয়া’ নাম, রুশ পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও উয়েফা। এরপর অবশেষে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তারা। অবশ্য শুধু রাশিয়া নয়, রুশ সব ক্লাবকেও সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে সংস্থা দু’টি।
এক বিবৃতিতে ফিফা ও উয়েফা জানিয়েছে, ‘ইউক্রেনের আক্রান্ত মানুষজনের সঙ্গে ফুটবল পুরোপুরি একাত্মতা পোষণ করা হচ্ছে। দুই সংস্থার সভাপতি আশা করছেন, শিগগিরই পরিস্থিতিতে বড় উন্নতি আসবে। তাহলে ফুটবল আবারও জনগণের মাঝে ঐক্য ও শান্তির প্রতীক হয়ে উঠতে পারবে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা শুরু করেছে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মতো পড়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনের ৫ লাখ ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা সংস্থাটির।
অবশ্য রুশ সেনাদের হামলার মুখে পিছিয়ে নেই ইউক্রেনও। দেশটির দাবি, হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা ৫ হাজারেরও বেশি রুশ সেনাকে হত্যা করেছে। যদিও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দাবি স্বাধীন ভাবে যাচাই করে নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো সংবাদমাধ্যমই।
Leave a Reply