রাশিয়ার দীর্ঘ সামরিক বহরটি এই মুহূর্তে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অভিমুখে রয়েছে। সামরিক বহরের গতি সাধারণত ধীর হয়। আর ঠিক সেই কারণেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। এদিকে রাজধানী কিয়েভ অভিমুখী বিস্তৃত রয়েছে ৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ার সামরিক বহর। এসব ট্যাংকে থাকা সেনারা ঠাণ্ডায় জমে মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ।
বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশনের ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের নাম গ্লেন গ্রান্ট। তিনি নিউজউইককে বলেন, যদি ইঞ্জিন না চলে, তাহলে সামরিক বহরে থাকা ট্যাংকগুলো রুশ বাহিনীর জন্য বড় বড় রেফ্রিজারেটরে পরিণত হবে।
গ্লেন গ্রান্ট আরও বলেন, ঠাণ্ডায় জমে মৃত্যু এড়াতে রুশ সেনারা ট্যাংক থেকে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তারা হাঁটতে শুরু করতে পারেন।
একই ধরনের আশঙ্কার কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কেভিন প্রাইস। তার ভাষ্য, তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলে রাশিয়ার ট্যাংকগুলো ৪০ টন ফ্রিজারে পরিণত হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ সেনারা। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভয়ংকর আগ্রাসন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল সহজেই কিয়েভ দখল করবে রাশিয়া। কিন্তু যতই সময় এগিয়েছে, ততই পালটা মার দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। এমনকি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সাধারণ মানুষও। এই প্রতিরোধের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়াও।
Leave a Reply