ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে এবং রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাশিয়ান ও ইউক্রেনের সৈন্যদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী শনিবার ইউক্রেনে আর্টিলারি এবং বিমান হামলা চালিয়েছে।
ভ্যাসিলকিভ শহরের মেয়র নাটালিয়া বালাসিনোভিচের মতে, শনিবার ভোরে ভ্যাসিলকিভ শহরে একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের একটি বিমান ঘাঁটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একটি তেলের ডিপো ধ্বংস হয়েছে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে, রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বালাসিনোভিচকে উদ্ধৃত করে বলেছে, রাশিয়ান রকেট ভ্যাসিলকিভের কাছে একটি গোলাবারুদের ডিপো ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, রুশ বাহিনী মারিউপোলের একটি মসজিদে গোলা বর্ষণ করেছে, সেসময় ওই মসজিদে ৮০ জন লোক আশ্রয় নিয়েছিল। তবে হামলার সময় প্রকাশ না করলেও, তারা বলেছে যে মসজিদে অবস্থানকারীদের মধ্যে কয়েকজন তুরস্কের নাগরিক ছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, ইসমাইল হ্যাসিওগলু নামে মারিউপোলের স্থানীয় সুলেমান মসজিদ অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য, যিনি ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তিনি বলেছেন, মসজিদটিতে সরাসরি আঘাত করা হয়নি তবে আগুন লেগেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেন্সকি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ান ব্যাটালিয়নের কৌশলগত ৩১টি গ্রুপ অকেজো করে দেয়ার পর, রাশিয়া সেখানে আরো সৈন্য পাঠাচ্ছে। এই ঘটনাকে তিনি কয়েক দশকের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। জেলেন্সকি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি, এবং তার ওই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
জেলেন্সকি আরো বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া প্রথম ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে ইউক্রেনীয়ার প্রায় ১,৩০০ সৈন্য নিহত হয়েছে।
তিনি জানান, রাশিয়ানদের হাত থেকে কিয়েভের রাজধানীকে রক্ষা করতে আরো ইউক্রেনীয় মরতে রাজি আছে।
শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের পশ্চিম অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্য করে তার যুদ্ধ আরো সম্প্রসারিত করেছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সাথে সাথে রাজধানী কিয়েভের কাছে সেনাদের পুনর্গঠন করছে বলে মনে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী ‘একটি অভিযোজিত এবং চতুর’ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে বেশ শক্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, যা রুশ বাহিনীকে বেশ হতাশ করেছে।
Leave a Reply