ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’জাহাজে রকেট হামলায় নিহত নৌ-প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ আজ রাত সাড়ে ৯টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।
সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। দুপুর ১টার দিকে লাশ নিয়ে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির পাশে হাদিসুরকে দাফন করা হবে বলে জানান তার চাচা ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান।
মাকসুদুর রহমান জানান, কাল জানাজা শেষে দাদা-দাদির পাশে হাদিসুরকে দাফন করা হবে। হাদিসুর ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে নৌ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে। ২০১৮ সাল ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’জাহাজে যোগদান করে হাসিদুর। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর তিনি ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান।
হাদিসুরের মেজ ভাই তারিকুল ইসলাম বিলাপ করে বলেন, ‘এবার যাওয়ার সময় আমি আমার ভাইকে আগায় দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমি আর আমার ভাইকে আনতে পারলাম না।’
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানাজা হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে হাদিসুরকে দাফন করা হবে।
স্বজনেরা জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে হামলায় নিহত হন হাদিসুর রহমান। ৯ মার্চ ২৮ নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। জাহাজটির ২৯ জন নাবিক ও প্রকৌশলীর মধ্যে ২৮ জন নিরাপদে দেশে ফিরলেও হাদিসুরকে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।
হাদিসুর ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে নৌ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৮ সালে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে হাসিদুর যোগ দেন। হাদিসুর রহমান বিনয়ী প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার মৃত্যুতে পুরো গ্রাম এখন শোকাহত।
Leave a Reply