আজ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান চলবে। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কোভিড-১৯ এর বিস্তার কমে যাওয়ায় পরর্বতী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ বিভাগের আওতাধীন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও, করোনা টিকার দুই ডোজ নেয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যদের বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজে পাঠদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২ মার্চ থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক পাঠদান শুরু হয়। তারও আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস করতে দুই ডোজ টিকা লাগবে। কিন্তু এখনো অনেক শিক্ষার্থী টিকার আওতার বাইরে রয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণাললের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ ইমামুল হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এখনো কেন শিক্ষার্থীদের দুইডোজ টিকা দেয়া হয়নি তা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। শুধু স্কুলে ক্লাস কার্যক্রমে অংশ নেয়া নয়, নিজেকে ও আশপাশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতেও তাদের টিকার আওতায় আসা উচিত।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, সারাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে এক কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী আছে। ৯ মার্চের তথ্য অনুযায়ী তাদের মধ্যে এক কোটি ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০ জনকে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আর প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ৮০৩ জনকে। অর্থাৎ প্রায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ আর ৮০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। সশরীরে ক্লাস বন্ধ হলেও অনলাইনে চালু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার।
Leave a Reply