ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়া হাদিসুর রহমানের (৩৩) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজারের পূর্ব পাশের মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে। জানাজা শেষে সবাই শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
বাড়ির সামনে মসজিদের দক্ষিণ পাশে দাদা-দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয় হাদিসুর রহমানকে।
সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হাদিসুরের মরদেহ লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে নিজ বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পৌঁছায়।
নিহত হাদিসুর রহমান আরিফ বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাই বোনের মধ্যে হাদিসুর দ্বিতীয়। তিনি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো বিমান হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ২টায় হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহিন বলেন, ‘ঢাকা থেকে রওয়ানা হওয়ার পর আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রেখেছি। আজ মরদেহ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে হাদিসুরের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এ হামলায় জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান নিহত হন। পরের দিন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অক্ষত ২৮ নাবিক এবং হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেয়া হয়। সেখানে হাদিসুরের মরদেহ রেখে বাকি নাবিকদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জীবিত নাবিকরা দেশে ফিরেছেন।
Leave a Reply