মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের ঘোষণা উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম আরটি বলছে, সম্প্রতি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ রাশিয়ার বেশ কজন নেতা ও কর্মকর্তাকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে মস্কো মোট ১৩ জন জন আমেরিকানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
তালিকায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার কয়েকজন মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছাড়াও মার্কিন সেনা প্রধান জেনারেল মার্ক মাইলি এবং হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকিও রয়েছেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকেও রাশিয়ার এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে।
আরটি বলছে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত এসব আমেরিকান রুশ ফেডারেশনে প্রবেশ করতে করতে পারবেন না। তবে একইসাথে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ‘জাতীয় স্বার্থে’ ভবিষ্যতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার সম্ভাবনা নাকচ করা হচ্ছেনা।
ক্রেমলিনের বিবৃতি উদ্ধৃত করে আরটি বলছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় “অদূর ভবিষ্যতে” আরো নাম ঢুকবে।
বলা হয়েছে, আমেরিকার “যেসব কর্মকর্তা, সাময়িক কর্মকর্তা, আইন-প্রণেতা, ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রুশোফোবিক (রুশ বিদ্বেষী) অথবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোতে ভূমিকা রাখছেন” তাদেরও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
আমেরিকাও এর আগে রাশিয়ার বেশ কজন ব্যবসায়ী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্র রুশ বেশ কজন সিনিয়র রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। তাদের মধ্যে রাশিয়ার বেশ কজন উপমন্ত্রী এবং সরকারি একটি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক রয়েছেন।
অন্যদিকে কানাডাও সোমবার ১৫ জন সিনিয়র রুশ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ঢুকিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply