1. admin@thedailypadma.com : admin :
১৮ মার্চ, বিশ্ব ঘুম দিবস; জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ ঘুম - দ্য ডেইলি পদ্মা
রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন মারা গেছেন আগামীকাল রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাত কলেজের অভ্যান্তরীণ একাডেমিক সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার বাফুফের এমন দূরাবস্থা কেনো, এ নিয়ে অডিট হবে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে সাগরে লঘুচাপ, ৩ দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতায় বাংলাদেশ নারী দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আমি জেন-জিকে সত্যি ভালোবাসি: কমলা হ্যারিস গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৮৪ জন

১৮ মার্চ, বিশ্ব ঘুম দিবস; জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ ঘুম

  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০২২
  • ১৩৬ Time View

১৮ মার্চ, বিশ্ব ঘুম দিবস। প্রতি বছর মার্চের তৃতীয় শুক্রবার ঘুম দিবস পালন করা হয়। ২০০৮ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিনে’র ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি। ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাই এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

বিশ্ব ঘুম দিবস মূলত ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিনের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইভেন্ট। এ বছর এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য, ‘গুনগত ঘুম, সুস্থ মন, সুখী পৃথিবী।’

“বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখন ঘুমের মহামারি চলছে। এর কারণ হিসেবে তারা করোনার জন্য চাকুরী হারানো, আয় নিয়ে উদ্বেগ, ব্লু লাইট এফেক্ট (বাচ্চাদের মোবাইল বা ডিভাইস ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া), পারিবারিক সহিংসতা ও কাজের ক্ষেত্রে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া, করোনা আতংক তৈরি হওয়া, মদ্যপান ও ধূমপান বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোর কথা বলছেন,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

তবে ঘুম নিয়ে বাংলাদেশে তেমন কোন গবেষণা হয়নি তাই দেশের কি পরিমাণ মানুষ অনিদ্রায় ভুগেন এবং তার কারণ কি সে সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

মূলত প্রতি বছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবারে দিবসটি পালন করে ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিনের ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি এবং এর মূল উদ্দেশ্য হলো ঘুমের অভাবে হওয়া শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়টি মানুষকে অবহিত করা।

ঘুম না হলে যা হতে পারে

নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে একজন মানুষ ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের প্রয়োজনীয় সময় ভিন্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শ পত্র অনুযায়ী, ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। অনেকেই এর চেয়ে কম ঘুমিয়েও সুস্থ থাকতে পারেন। তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সাইকোলজি ও নিউরো সায়েন্সের প্রফেসর, ‘হোয়াই উই স্লিপ’ বইয়ের লেখক ম্যাথিউ ওয়াকার জানিয়েছেন, ঘুম কম হলে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতা।

ঘুম কম হলে নতুন স্মৃতি তৈরি হয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউ ওয়াকার। তিনি বলেন, ঘুম কম হলে মস্তিষ্কে ‘বিটা অ্যামিলয়েড’ নামের ক্ষতিকর প্রোটিন তৈরি হয়। অ্যালঝাইমার রোগের সঙ্গে এই প্রোটিনটির সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের শরীর মস্তিষ্ক থেকে বিটা অ্যামিলয়েড ও এ রকম অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণ করে থাকে। কাজেই ঘুম কম হলে অ্যালঝাইমার রোগ সৃষ্টিকারী এই প্রোটিনটি ও এ রকম ক্ষতিকর পদার্থগুলো মস্তিষ্কে জমা হবে। আর যত দিন যাবে, ডিমেনশিয়া তৈরি হবে।

শরীরের ওপর ঘুম কম হওয়ার নানারকম প্রভাব রয়েছে। প্রথমত, এর ফলে প্রজননতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। যেসব পুরুষ রাতে মাত্র পাঁচ বা ছয় ঘণ্টা ঘুমান, তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে দাঁড়ায় তাদের চেয়ে প্রায় দশ বছর বেশি বয়সীদের সমান। অর্থাৎ প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুম একজনের শারীরিক বয়সকে তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে দশ বছর বাড়িয়ে দেয়।

কম ঘুমের প্রভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপরও পড়ে। মাত্র এক রাত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমালে শরীরের ক্যান্সারপ্রতিরোধী কোষগুলোর ৭০ শতাংশ মরে যায়। এভাবেই কম ঘুম তৈরি করে অন্ত্রের ক্যান্সার, প্রোস্টেটের ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের মতো নানা ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনা এতই বেশি যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেকোনো নাইট শিফটের কাজকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঘুম কম হলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার ওপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। গভীর ঘুম রক্তচাপের প্রাকৃতিক চিকিৎসক। কারণ গভীর ঘুমের সময় হার্টবিট রেট কমে আসে, রক্তচাপ নেমে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে পারে না। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। ঘুমের স্বল্পতা প্রাণঘাতী স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ২০০% বাড়িয়ে দেয়।

১.৬ বিলিয়ন মানুষের ওপর দুই বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ডেলাইট সেভিং টাইম চলাকালে যখন মানুষের ঘুমের সময় এক ঘণ্টা কমে যায়, তখন হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ ২৪% বেড়ে যায়।

টানা ১৬ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালেই মানুষ মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯ থেকে ২০ ঘণ্টা টানা না ঘুমিয়ে থাকলে কারো মানসিক ও শারীরিক অবস্থা মাতালের সমতুল্য হয়ে দাঁড়ায়। আর এসব কাটিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন দিনে গড়ে আট ঘণ্টা ঘুম।

অনেকেই ভোর চারটা থেকে ৬টায় ঘুমাতে যান। উঠেন ১২টা থেকে ২টার মধ্যে। এতে তিনি ঘুমান ঠিকই। কিন্তু সেই ঘুম রাতের ঘুমের সমান হয় না কিছুতেই। তিনি ঘুমাচ্ছেন তার নিয়মে। কিন্তু তাঁর সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড চলে প্রকৃতির নিয়মে। তিনি সঠিকভাবে ব্রেকফাস্ট করেন না। ফুড সার্কেল নষ্ট হয়। তার সারা দিনের কাজের সিস্টেমে গোলযোগ হয়। সূর্যের আলোর মাধ্যমে ভিটামিন ডি থেকে বঞ্চিত হন। শুধু তা–ই নয়, ভিটামিন এ, ই থেকেও বঞ্চিত হন। দিনে ঘুমিয়ে রাত জাগলে মুখের টোনিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডার্ক সার্কেল পড়তে পারে। মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। ওজন বাড়তে পারে। তা ছাড়া রাতে ঘুমের যেমন পরিবেশ, দিনে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি পাওয়া যায় না। তাই দিনের ঘুম রাতের মতো গভীর হয় না। ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা, রাতে দিনের মতো হাঁটাচলা হয় না। কিন্তু জাংক ফুড, ইরিটেটিং ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এসব কারণে রাতের ঘুমই সেরা। দিনে ঘুমানো মন্দের ভালো।

বাংলাদেশে ঘুমের সমস্যার একটি বড় কারণ হলো যথাযথ ‘ঘুমের সংস্কৃতি’ না থাকা অর্থাৎ সময় মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার বহুল প্রচলিত অভ্যাস না থাকা। এখানে বেশির ভাগ মানুষেরই রাতের খাবার খাওয়া ও ঘুমাতে যাবার সময় মেনে চলার অভ্যাস নেই। এটিও ঘুমের সমস্যা তৈরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

ঘুম কম হওয়ার কারণে শারীরিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পৃথিবীজুড়ে ১৫৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং মোটা হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের উপর এসব গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা কয়েক রাত যদি ঘুম কম হয় তাহলে সেটি ডায়াবেটিসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের নিদ্রাহীনতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শরীরের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তিন মাস কারও নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে অকাল মৃত্যু, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা ১০ গুণ বেড়ে যায়।

দেরিতে ঘুমানো বা কম ঘুমানোর কারণে প্যানিক (আতঙ্কিত হওয়া), ফোবিয়া (ভীতি) ও ফ্যানটম পেইন (অকারণ অস্বস্তি) তৈরি হয় যার ফলে বিষণ্ণতা এবং উদ্বিগ্নতা বেড়ে যায়। আর বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ঘুমের সংস্কৃতি না থাকায় ঘুমজনিত সমস্যার প্রকোপও বাড়ছে।

সঠিক মাত্রায় নিয়মিত ঘুম হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। আবার নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত বা অনিদ্রা হলে তা একজন মানুষকে গুরুতর শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ফেলে দিতে পারে।

আসুন জেনে নিই অনিয়মিত ঘুম যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়-

১. পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা কম হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে পারে। চিকিৎসকদের মতে, ঘুম না হলে শরীরের ‘লিভিং অরগানিজমগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। নষ্ট হতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য। বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপার টেনশন।

২. ঘুম কম হলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। ঘুমের সময় হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালি বিশ্রাম পায়। তাই ঘুম কম হলে প্রতিনিয়ত কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে থাকে। ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে থাকে।

৩. ঘুম পর্যাপ্ত না হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিন রাতে না ঘুমানো বা কম ঘুমানোর ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

৪. ঘুম শরীরের ক্ষতি পূরণ ও শক্তি সঞ্চয়ের একটি পন্থা। তাই ঘুম কম হলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়। আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দায়ী ‘লিভিং অরগানিজম’ (Living organisms)। কিন্তু আমরা না ঘুমালে এই ‘লিভিং অরগানিজম’গুলো কাজ করতে পারে না। ফলে ক্রমশ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।

৫. মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওরেক্সিন উৎপাদনের গতি মন্থর হয়ে যায়।

৬. প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। না ঘুমালে শরীরের পাচন ক্রিয়ায় সাহায্যকারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে খাবার হজমে সহায়ক পাচক রসগুলো উপযুক্ত মাত্রায় নিঃসরণে বাধা পায়।

তাই ঘুম আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমাদের দৈহিক প্রায় সব কার্যকলাপই ঘুমের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই কোনও রকম অবহেলা না করে নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। আর ঘুমের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ, বিবিসি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews