1. admin@thedailypadma.com : admin :
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কতটা লড়াইয়ে সক্ষম, সেটি ধারণা করতে রাশিয়া প্রথম ভুল করেছে - দ্য ডেইলি পদ্মা
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কতটা লড়াইয়ে সক্ষম, সেটি ধারণা করতে রাশিয়া প্রথম ভুল করেছে

  • Update Time : রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২
  • ১৪৫ Time View

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ এবং সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর একটি রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনে সামরিক হামলার শুরু থেকে মস্কোর সেই সক্ষমতা দেখা যায়নি। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক সামরিক বিশ্লেষক যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের কর্মকাণ্ড দেখে অবাক হয়েছেন।

তারা এক কথায় একে হতাশাজনক উল্লেখ করে বলেছেন, যুদ্ধের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা রাশিয়া কাটিয়ে উঠতে পারবে কিনা সে সংশয় থেকে যাচ্ছে। ন্যাটোর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, রাশিয়া তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, হয়তো যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত সেটা পারবেও না।’ সুতরাং, ইউক্রেনে হামলা করতে গিয়ে রাশিয়া আসলে কী ভুল করেছে?

আক্রান্ত হলে ইউক্রেনে কতটা প্রতিরোধ তৈরি হতে পারে, দেশটির তুলনামূলক ছোট সামরিক বাহিনী কতটা লড়াইয়ে সক্ষম, সেটি ধারণা করতে গিয়ে রাশিয়া প্রথম ভুল করেছে। প্রতি বছর সামরিক শক্তির পেছনে ৬ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে রাশিয়া, ইউক্রেন যেখানে ব্যয় করে মাত্র ৪০০ কোটি ডলার। রাশিয়াসহ আরো অনেকেই দেশটির সামরিক শক্তিকে অতিরিক্ত বড় করে দেখছিলেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য একটি উচ্চাভিলাষী আধুনিকীকরণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তিনি নিজেও হয়তো তার প্রচারণায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন।

ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাজেটের বড় একটি অংশ চলে গেছে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র এবং সে সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার পেছনে। তার মধ্যে রয়েছে হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির মতো প্রকল্প। বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ট্যাংক টি-১৪ আর্মাটাও তৈরি করেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর রেড স্কয়ারে প্যারেডে সেটি দেখা গেলেও ইউক্রেনের যুদ্ধে দেখা যায়নি। সেখানে রাশিয়া যেসব ট্যাংক মোতায়েন করেছে, তার বেশির ভাগই টি-৭২ ট্যাংক, আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার, আর্টিলারি এবং রকেট লঞ্চার।

যুদ্ধ শুরুর দিকে আকাশে রাশিয়ার পরিষ্কার দখল ছিল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তুলনায় তাদের তিন গুণ বেশি শক্তি দেখা গেছে। অনেক সামরিক বিশ্লেষক ধারণা করেছিলেন, হামলাকারী বাহিনী খুব দ্রুত ইউক্রেনের আকাশে নিজেদের দখল নিয়ে নেবে, কিন্তু তারা সেটা পারেনি। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা এখনো সক্ষম। মস্কো হয়তো আরো আশা করেছিল যে, তাদের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। খুব দ্রুত তারা ফলাফল এনে দেবে। কিন্তু একজন জ্যেষ্ঠ পশ্চিমা সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া ভেবেছিল, তারা স্পেত্নাজ আর ভিডিভি প্যারাট্রুপারের মতো হালকা ইউনিট মোতায়েন করে ইউক্রেনের ছোটখাটো প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে দেবে। তাতেই তাদের দখল চলে আসবে।

কিন্তু প্রথম কয়েকদিনে ইউক্রেনের কিয়েভের কাছাকাছি হোস্টোমেল বিমানবন্দরে রাশিয়ার হেলিকপ্টার হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে রাশিয়া তাদের পরিকল্পনা মতো সৈন্য, সরঞ্জাম অথবা রসদের সরবরাহ আনতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং রসদ সরবরাহের জন্য রাশিয়াকে সড়কপথের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ব্যাপক যানজটের তৈরি হয়েছে। তাদের ওপর ইউক্রেনের সৈন্যরা সহজে অতর্কিতে হামলা চালাতে পারছে। অনেক ভারী সশস্ত্র যান সড়ক থেকে সরে গিয়ে উলটো কাদায় আটকে পড়েছে।

হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া, যারা এখন যুদ্ধ করছে। কিন্তু এর মধ্যেই তারা প্রায় ১০ শতাংশ শক্তি হারিয়েছে। রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষে আসলে কতজন প্রাণ হারিয়েছে, তার নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য নেই। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ১৪ হাজার সৈন্যকে হত্যা করেছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, সংখ্যাটা এর অর্ধেক হবে।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার সৈন্যদের মনোবল যে কমে যাচ্ছে, তারও অনেক নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তাদের খুবই মনোবল ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।’ আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘রাশিয়ার সৈন্যরা ঠান্ডায় কাতর, পরিশ্রান্ত এবং ক্ষুধার্ত’, যেহেতু হামলা শুরুর আগে বেলারুশ ও রাশিয়াতেও তাদের অনেকদিন তুষারের মধ্যে অপেক্ষা করতে হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে এর মধ্যেই নতুন করে সৈন্য মোতায়েনের প্রতি গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া।

এমনকি দেশের পূর্বাঞ্চল ও আর্মেনিয়া থেকে সংরক্ষিত সৈন্য আনতে বাধ্য হয়েছে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদের ওয়াগনার গ্রুপ এবং সিরিয়ার মতো দেশে থেকে খুব তাড়াতাড়ি বিদেশি সৈন্যরাও এই যুদ্ধে অংশ নেবে। ন্যাটোর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এর মানে হচ্ছে, তারা তলানি থেকেও এখন শক্তি কুড়ানোর চেষ্টা করছে। বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews