রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট মানবিক ও মানবাধিকার সঙ্কটের প্রতি মিত্রদের সমর্থনে শুক্রবার পোল্যান্ড সফরের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সাথে দেখা করেছেন। মিত্ররা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাধা দিতে নতুন পদক্ষেপ নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক ইউক্রেনীয়র ত্রাণ পেতে সহায়তা করার জন্য ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
এদিকে ন্যাটো সদস্যরা শীর্ষ সম্মেলনের পরে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে যে তারা জোটে তাদের জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২ শতাংশ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ‘ত্বরান্বিত’ করবে যার ফলে ন্যাটোর ‘দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ ৪৮টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাশিয়ান প্রতিরক্ষা সংস্থা ও ৪০০ জনেরও বেশি রাশিয়ার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ধনকুবের ও অন্যান্য ব্যক্তিত্বকে লক্ষ্য করে নতুন এক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাইডেন বলেছেন, এ পদক্ষেপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটেন বলেছে, তাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে তেল ও গ্যাসের অর্থ প্রদানের প্রধান মাধ্যম গ্যাজপ্রমব্যাঙ্কের সম্পদ ও সেইসাথে রাশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি ঋণদাতা আলফা ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করা। তেল ব্যবসায়ী ইভজেনি শভিডলার, এসবার ব্যাংকের সিইও হারমান গ্রেফ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সৎ কন্যা পলিনা কোভলেভাও নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন।
চীন রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে এবং এসব পদক্ষেপ এড়াতে রাশিয়াকে সহায়তা না করার ব্যাপারে বাইডেনের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বাইডেনের সাম্প্রতিক ফোনালাপের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাইডেন বলেছিলেন যে তিনি শি জিনপিংকে ‘রাশিয়াকে সাহায্য করার পরিণতি’ স্পষ্ট করেছেন। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি কোনো হুমকি দেইনি।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply