1. admin@thedailypadma.com : admin :
দেশের বিপুল উন্নয়ন যারা চোখে দেখে না, তাদের চোখ খারাপ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - দ্য ডেইলি পদ্মা
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়াল, ধ্বংসস্তূপে চাপা অনেকে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারাবিশ্বের কোটি মানুষের সাথে বাংলাদেশিরাও উপভোগ করলো মহাজাগতিক এক নিদর্শন এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ সেপ্টেম্বর প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও ৩ জন মারা গেছেন গাজা সিটির বহুতল ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

দেশের বিপুল উন্নয়ন যারা চোখে দেখে না, তাদের চোখ খারাপ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Update Time : রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২
  • ১৫৬ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের বিপুল উন্নয়ন যারা চোখে দেখে না, তাদের চোখ খারাপ। আসলে তাদের দেখার কোনো ইচ্ছাই নেই।

রবিবার (২৭ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে আছে দেশের কোনো উন্নতি দেখে না। তাদের চোখে কোনো উন্নয়নই নাকি দেশে হয়নি। তাদের যদি চোখ খারাপ থাকে আমার কিছু বলার নেই। এখন বলতে হয় আমরা তো একটি আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। যারা বক্তৃতা দেয় উন্নয়ন হয় না, চোখে দেখে না আমার মনে হয় তাদের চোখ একটু পরীক্ষা করা দরকার। তাহলে হয়তো দেখতে পারে উন্নয়ন হয়েছে কী না?

বিএনপিসহ যারা সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না তাদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের কর্মসূচি সুপরিকল্পতভাবে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। ইশতেহারে যে ঘোষণা দিয়েছি- তা একে একে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তাদের চোখে পড়ে না যে শতভাগ বিদ্যুৎ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তো বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ তারাও নিচ্ছে। এটা উন্নতি নয়? আজকে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র—এগুলো চোখে পড়ে না। এগুলো উন্নয়নের লক্ষণ নয়? দারিদ্র হার হ্রাস পেয়েছে সেটা তাদের চোখে পড়ে না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা তাদের চোখে উন্নয়ন নয়।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাকি নেই। গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করে ফেলেছি। তাদের গণতন্ত্রের ডেফিনেশনটা কী? যাদের জন্ম জনগণের মধ্য থেকে হয়নি, জন্ম হয়েছে সেনা ছাউনিতে ক্ষমতা দখলকারী পকেট থেকে। তারা এখন আমাদের গণতন্ত্র শেখায়। যাদের জন্ম হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। সেই ধরনের ক্ষমতা দখলকারী অবৈধভাবে তাদের হাতে বিএনপির জন্ম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থেকে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিল। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সেনা সদস্যদের হত্যা করেছে। কত পরিবার তাদের আপনজনের লাশটিও পায়নি। হাজার হাজার সেনা সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের থেকে আজ আমাদের গণতন্ত্রের ছবক শিখতে হবে এটাই জাতির দুর্ভাগ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বের কাছে এখন বাংলাদেশকে ভিক্ষা চেয়ে চলতে হয় না। বাঙালিদের মাথানত করে চলতে হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে ঘর-বাড়ি করে দিয়ে পুনর্বাসন করেছি। এই কাজটি করতে গিয়ে আমরা মুজিববর্ষের কর্মসূচি কিছু কাটছাঁট করেছি। কেউ গৃহহীন, ভিটাহীন থাকবে না এটাই আমাদের লক্ষ্য। নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকায়ও আমরা এমন ঘর করে দিচ্ছি যেটা ভাঙনে আশঙ্কা দেখা গেলে দ্রুত সরিয়ে নিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য এই দেশে কোনও মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, অন্ধকারে থাকবে না।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকের ঘর আলোকিত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রত্যেকটি গ্রামে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিনা পয়সায় করোনার করোনার পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন দিয়েছি। অনেক উন্নত দেশও এটা পারেনি। ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গেছে। আগামীকাল থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত আবারও গণটিকা দিতে হবে। যারা দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি সেটা আমরা দেবো। আমরা একদিনে এক কোটি ২৩ লাখ করোনার টিকা দিয়ে রেকর্ড করেছি।

খাদ্য ও জীবিকার চাহিদা সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, করোনার ধাক্কা ও যুদ্ধাবস্থা সবকিছু মিলে খাদ্যাভাব সারাবিশ্বে দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য আমি আগেই বলেছি কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমি অনাবাদী না থাকে। যার যেটুকু আছে সেটুকু করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews