মঙ্গলবার র্যাবের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, অপহরণকৃত ভিকটিমদের উদ্ধারে র্যাবই হলো মানুষের শেষ ভরসাস্থল। র্যাব প্রথমে অল্প সংখ্যক ব্যাটালিয়ন নিয়ে শুরু করলেও পরিস্থিতির দাবি মোতাবেক সর্বশেষ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় মোট ১৫টি ব্যাটালিয়ন নিয়ে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, সব ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলায় সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে সফল অভিযান পরিচালনা করে র্যাব আজ একটি সুংগঠিত ও গতিশীল বাহিনী হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। র্যাবে কর্মরত সব সদস্যদের আন্তরিক নিষ্ঠা, মেধা ও পরিশ্রমের ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে র্যাব ফোর্সেস সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আমরা জঙ্গি প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছি, মাদক রোধেও সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, র্যাব শুধু অপরাধ দমন, আসামি গ্রেপ্তার করে না; পাশাপাশি আরও উদ্ভাবনীমূলক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপরাধকে সমূলে উৎপাটনে নিয়জিত থাকে। অপরাধীর মনোস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের মূল ধারায় তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগে আত্মসমর্পণকৃত ৪২১ জন জলদস্যু ও জঙ্গিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আমরা যুক্ত করেছি। এভাবে অপরাধ দমনে বহুমুখী কর্মপন্থা নিয়ে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধকে সমূলে উৎপাটনে র্যাবের এই বহুমুখী উদ্যোগ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। মানবিকতা দিয়ে অপরাধ দমনের সাফল্য বিশ্বের বুকে নজিরবিহীন।
Leave a Reply