ডেল্টাক্রন, ওমিক্রনের পর হাজির নয়া স্ট্রেন এক্সই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কার কথা শুনিয়ে বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট নাকি ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই পরিব্যক্ত এক্সই রূপটির উৎপত্তি।
গত জানুয়ারি মাসেই ব্রিটেনে এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত ৬০০টি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও করোনাভাইরাসের নয়া রূপটির মারণক্ষমতা ওমিক্রনের মতোই বেশ কম। এমনটাই ধারণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকদের।
এটা ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতিটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমেরিকায় সাম্প্রতিক সংক্রমণের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসটি দায়ী।
হংকংয়ে শিশুদের উপরে করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য রূপের তুলনায় তো বটেই, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়েও বেশি গুরুতর সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বিএ.২ উপপ্রজাতিটি। তার আগে পাওয়া ওমিক্রন রূপের বিএ.১ উপপ্রজাতিটিও যথেষ্ট সংক্রামক ছিল। তবে সংক্রামকের হিসেবে সবাইকে নাকি ছাপিয়ে যাবে এক্সই। এমনটাই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
Leave a Reply