হাওরাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জে আতংকে দিন কাটছে কৃষকদের। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে জেলার নদ-নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তার কৃষকরা। জেলার অনেক জায়গায় ইতিমধ্যে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে হাওরের ফসল। সম্প্রতি জেলার শান্তিগঞ্জেও বিভিন্ন বাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল। বাঁধ রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। এই করুণ আহবানে ফসল হানির শংকায় ভেঙ্গে পড়েছেন কৃষকরা। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে রাতের আধারেই বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন শতাধিক কৃষকরা।
জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া, শালদিকা, বেদাখালি ও ছাতলীর বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় ফসল নিয়ে চিন্তার শেষ নেই কৃষকদের। তাদের একটাই চিন্তা কখন জানি ঢলের পানিতে সব তলিয়ে যায়। সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে মাইকে ভেসে আসা বাঁধ রক্ষার আহবানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। হাওরের আধাকাচা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাদের। রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা। তাই রাতের আধারেই যে যার মত করে ছুটছেন বাঁধ রক্ষায়।
বাঁধে অবস্থানরত এক কৃষক দুঃখ করে বলেন, মসজিদের মাইকিং শুনে ভিতরটা শুকিয়ে গেছে। তাই রাতেই বাঁধে ছুটে এসেছি। যদি এবার ফসল ডুবি হয় পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
আরেক কৃষক বলেন, অনেক কষ্ট করে জমি চাষ করেছি। জমিতে এখন আধাকাচা ধান। যদি ঘরে ধান না তুলতে পারি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তবে এখন বাঁধের অবস্থা মোটামুটি ভালো।
এদিকে বাঁধে ফাটল দেয়ার খবর শুনেই বাঁধ পরিদর্শন করেছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন।
<p>সম্পাদক: মো:রোকন উদ্দিন রুমন </p><p>লেখক: আবদুল্লাহ যায়েদ তানজিন </p><p>উপদেষ্টা: মো: মোশাররফ হোসেন </p><p>thedailypadma@gmail.com<br></p><p> বার্তা কার্যালয়: দক্ষিন কমলাপুর,ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। </p><p>মোবাইল:০১৭১১১৪৮৯৫১, ০১৯১১৩০৩২২৯ ইমেইল: thepadma24@gmail.com<br></p>
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।