অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলের অবশিষ্ট ইউক্রেনিয়ান সেনাদের আত্মসমর্পণের জন্য রাশিয়া সময়সীমা বেঁধে দেয়ার পরও এখনো তাতে কেউ সাড়া দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
মস্কো বলছে, মারিউপোলের অবশিষ্ট ইউক্রেনিয়ান সেনাদের সবাই এখন এক বিশাল ইস্পাত কারখানার ভেতর অবস্থান নিয়ে রয়েছে। রাশিয়া আরো বলছে, মারিউপোল শহর এখন প্রায় পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
যদি মারিউপোলের পতন ঘটে, এটি হবে গত দুমাসের যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আযভস্টল ইস্পাত কারখানার ভেতর এখন প্রায় আড়াই হাজার ইউক্রেনিয়ান সেনা আছে। সেখান থেকে তাদের বেরুবার পথ বন্ধ করে রেখেছে রুশ বাহিনী। বিবিসি অবশ্য এসব দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
তবে মারিউপোলের মেয়রের একজন উপদেষ্টা টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী এখনো প্রতিরোধ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের একজন এমপি, ওলেক্সি গনচারেনকোও বলেছেন, মারিউপোলে ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
তিনি বলেন, আমি গতকালই তাদের সাথে কথা বলেছি। আমি জানি যে তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের যুদ্ধে রাশিয়া তেমন সুবিধা করতে না পারার পর পূর্বের ডনবাস অঞ্চলের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছিল। তবে এর পাশাপাশি তারা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাজধানী কিয়েভে এবং অন্যান্য এলাকায় হামলা অব্যাহত রাখে।
মারিউপোলের সর্বশেষ অবস্থা
রাশিয়া দাবি করছে, তারা শহরটির বেশিরভাগ এলাকায় পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে মারিউপোলের আযভস্টল ইস্পাত কারখানা, যেটিকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইস্পাত শিল্প বলে গণ্য করা হয়, সেটি এখনো তারা দখল করতে পারেনি। অবশিষ্ট ইউক্রেনিয়ান যোদ্ধারা সেখানেই আছে।
রাশিয়া বলেছিল, যারা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আত্মসমর্পণ করবে, তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ৬টার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে রুশ বাহিনী বলছিল, তারা আযভস্টাল ইস্পাত কারখানার এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের প্রাণে মারা হবে না।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, যারা এভাবে আত্মসমর্পণ করবে, তাদেরকে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধবন্দীর সব অধিকার দেয়া হবে।
আধ ঘণ্টা পর পর রুশ বাহিনী আত্মসমর্পণের এসব শর্ত তাদের প্রতিপক্ষকে জানাচ্ছিল।
রাশিয়া বলেছিল, যদি ইউক্রেনিয়ানরা এই প্রস্তাবে রাজী হয়, তাহলে রুশ বাহিনী ৬টায় লাল পতাকা তুলবে এবং ইউক্রেনিয়ানরা তখন ইস্পাত কারখানার সীমানার কাছে এসে সাদা পতাকা তুলতে পারে।
তবে ইউক্রেনিয়ান কর্মকর্তারা এখনো পর্যন্ত এই প্রস্তাবে রাজী হয়েছেন বলে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। মারিউপোলের পতন ঘটতে পারে, এমন কথা গত কদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল।
রুশ বোমা বর্ষণে শহরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা নেই, পানি নেই। খাদ্য বা ওষুধেরও তীব্র সঙ্কট। হাজার হাজার মানুষ এরই মধ্যে শহরটি ছেড়ে আরো উত্তর দিকে পালিয়ে গেছে।
এর আগে রুশ টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল মারিউপোলের ইউক্রেনিয়ান মেরিন সেনারা আত্মসমর্পণ করছে। তবে ইউক্রেনিয়ানরা উল্টো দাবি করছিল, মেরিন সেনারা আত্মসমর্পণ করেনি, বরং তারা রুশ সৈন্যদের বাধা অতিক্রম করে আযভ ব্যাটালিয়নের সাথে গিয়ে যোগ দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে, শহরটির খুব অল্প অংশই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
সূত্র : বিবিসি
<p>সম্পাদক: মো:রোকন উদ্দিন রুমন </p><p>লেখক: আবদুল্লাহ যায়েদ তানজিন </p><p>উপদেষ্টা: মো: মোশাররফ হোসেন </p><p>thedailypadma@gmail.com<br></p><p> বার্তা কার্যালয়: দক্ষিন কমলাপুর,ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। </p><p>মোবাইল:০১৭১১১৪৮৯৫১, ০১৯১১৩০৩২২৯ ইমেইল: thepadma24@gmail.com<br></p>
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।