ফরিদপুরে গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১৯ রোগী। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। শয্যা না পেয়ে অনেকে বারান্দা ও গাছতলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও আশপাশের সকল ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। কোথাও বেড না পেয়ে অনেকেই বারান্দায় ও গাছতলায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়। সেখানে ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ১৬। কিন্তু, রোগী ভর্তি আছেন ৩১ জন। অনেক রোগী বারান্দায় এবং কাউকে কাউকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক ও সেবিকারা রোগীদের পরিচর্যা করা, স্যালাইন দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বিলকিস বেগম (২৩) নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মা সায়েরুন বেগম। বিলকিস বেগম ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকার বাসিন্দা ইজিবাইক চালক ফরহাদ শেখের স্ত্রী।
সায়েরুন বেগম জানান, গত শুক্রবার পেয়াজু, ছোলা, বড়া, দুধ খায় বিলকিস। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিলকিসকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি সাবিনা (১৮) চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে রোগীর স্বজনরা বলছেন, একদিকে চিকিৎসা সেবা পেতে কষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে দালালদের উৎপাত। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হলেই পেছনে লাগে তারা।
কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চাপ বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স গোলাপী বেগম বলেন, ‘আমরা এখন সাপ্তাহিক ছুটি না নিয়েও দিন-রাত রোগীর সেবা করে যাচ্ছি। রোগী আসছে প্রচুর, জায়গা দিতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে অনেকেই ফ্লোর, বারান্দা, আবার অনেকেই গাছতলায় সেবা নিচ্ছেন।’
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তানজিলুর ইসলাম বলেন, ‘রোগী আসছে অনেক, তবে সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তাদের দুই থেকে তিন দিন ঠিকমতো যত্নে রাখতে ভাল হয়ে যায়।’
Leave a Reply