এপ্রিলের তুলনায় দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি। আঁধি বা কালবৈশাখীর দেখা নেই। চারপাশ পুড়ছে। তার মধ্যেই বড় ধরনের আগুন লেগেছে দিল্লির আবর্জনার পাহাড়ে। দিল্লির উত্তরে ভালসাওয়াতে এই আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
আবর্জনার পাহাড়ে আগুন
দিল্লির উত্তরে এই এলাকায় প্রতিদিন দুই হাজার তিনশ টন আবর্জনা ফেলা হয়। বিশাল এলাকা জুড়ে কেবল আবর্জনার স্তূপ। প্রায় ১৭ তলা বাড়ির সমান আবর্জনার পাহাড় জমেছে এখানে। যে জায়গায় আবর্জনা ফেলা হয়েছে, তাতে ৫০টি ফুটবল মাঠ ঢুকে যাবে।
আগুন লাগার পর এখানকার কর্মীদের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়েছে। ৩১ বছর বয়সি ভৈরোঁ রাই এপি-কে বলেছেন, ''প্রতিবছরই এখানে আগুন লাগে। আগুন এখানে নতুন কিছু নয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জীবীকা নির্বাহ করতে হয়। কী আর করা যাবে?''
প্রধানমন্ত্রীর সাবধানবাণী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবাইকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ''তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। তার ফলে আরো আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে।''
মোদী বলেছেন, ''গত কয়েকদিন ধরে আমরা জঙ্গল, বাড়ি ও হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাচ্ছি।''
পূর্ব ভারতের অবস্থা খারাপ
প্রচণ্ড গরমে পূর্ব ভারতের অবস্থা খারাপ। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি জ্বলছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে তাপমাত্রা উঠে গেছে ৪০ ডিগ্রির উপরে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব, আগামী ২ মে থেকে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি দিয়ে দেয়া হোক।
কেন এই অবস্থা?
মুম্বইয়ের হাইড্রোক্লাইমেটোলজিস্ট অর্পিতা মণ্ডল বলেছেন, ''এটা বিরল ঘটনা, পুরো দেশ তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে।''
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের গ্রান্থাম ইন্সটিটিউটের প্রবীণ অধ্যাপক ফ্রিডরিক ওটো সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, ''জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ভারতের আবহাওয়া আরো গরম হয়েছে। বিশ্বের পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে গরম আরো বাড়বে। শহরের দূষণের জন্যও গরম বাড়ছে।''
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টর্স)
<p>সম্পাদক: মো:রোকন উদ্দিন রুমন </p><p>লেখক: আবদুল্লাহ যায়েদ তানজিন </p><p>উপদেষ্টা: মো: মোশাররফ হোসেন </p><p>thedailypadma@gmail.com<br></p><p> বার্তা কার্যালয়: দক্ষিন কমলাপুর,ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। </p><p>মোবাইল:০১৭১১১৪৮৯৫১, ০১৯১১৩০৩২২৯ ইমেইল: thepadma24@gmail.com<br></p>
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।