বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর সদরঘাটে বাড়তে শুরু করেছে যাত্রীর চাপ। প্রতিটি নৌপথে নিয়মিত লঞ্চের পাশাপাশি বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করছেন লঞ্চ মালিকেরা।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মোট ৫১টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।
আজ সকাল থেকে যাত্রীর চাপ থাকলেও দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। লঞ্চগুলো যাতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সে জন্য বারবার বিআইডব্লিউটিএর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে মাইকে সতর্কবাণী প্রচার করছে নৌপুলিশ। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সদরঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে যাত্রীর ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএ, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বেলা তিনটার দিকে সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে ঘাটে থাকা অধিকাংশ লঞ্চের ডেকই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। বিকেল পাঁচটার আগে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্মকর্তারা। তবে লঞ্চগুলো যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে গেলে সেগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন বিআইডব্লিউটিএর বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
বিকেল পৌনে চারটার সময় সদরঘাট ছেড়ে যায় ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়াগামী লঞ্চ ফারহান-৫। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ফারহান-৫ ও ভোলার চরফ্যাশনের আয়েশাবাগগামী কর্ণফুলী-১২ লঞ্চকে ভ্রাম্যমাণ আদালত যথাক্রমে ২০ হাজার ও ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তবে জরিমানা করে লঞ্চগুলোকে ঘাট ছাড়তে বাধ্য করা হলেও ছাদে থাকা অতিরিক্ত যাত্রী নামিয়ে দিতে দেখা যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসা।
সদরঘাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে আসা বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরমুখী যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি।’
এদিকে সদরঘাটে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ থাকলেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত গুলিস্তান থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক পর্যন্ত যানবাহনের জট দেখা যায়নি। বাসের যাত্রীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে নেমে হেঁটেই সদরঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। রিকশা, সিএনজি বা ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রীরা সরাসরি সদরঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ কারণে এসব যানবাহনে জট তৈরি হয়েছে সদরঘাটের সামনের সড়কে।
Leave a Reply