1. admin@thedailypadma.com : admin :
ঈদ সামনে রেখে এবার বাড়ল মাছ-মাংস ও সবজির দাম; বোতলজাত তেলের তীব্র সংকট - দ্য ডেইলি পদ্মা
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

ঈদ সামনে রেখে এবার বাড়ল মাছ-মাংস ও সবজির দাম; বোতলজাত তেলের তীব্র সংকট

  • Update Time : শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৯১ Time View

ভোজ্য তেল, মসলাসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে আগেই। ঈদ সামনে রেখে এবার বাড়ল মাছ-মাংস ও সবজির দাম। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দামও নতুন করে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বোতলজাত সয়াবিনে তেলের তীব্র সংকট। ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এক লিটারের বোতল; যা সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি।

ঈদের আগের হঠাৎ করে নিত্যপণ্যের দামের এই উল্লম্ফনে দিশেহারা ক্রেতারা। মনিটরিং না হওয়ায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন তারা। তাদের ভাষ্য, গত তিনমাসে প্রতিকেজি গরুর মাংসে দুইশ টাকার বেশি বেড়েছে। অথচ এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না। সবাই আছে তেল-পেঁয়াজের দাম নিয়ে।

এদিকে দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা দোষ চাপাচ্ছেন একে অপরের কাঁধে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে দাম রাখছেন বেশি। আর এ কারণেই তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে পাইকাররা বলছেন, ঈদযাত্রার কারণে পরিবহন জটিলতায় সরবরাহ কমায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে সয়াবিন তেল নেই। অনেকে আবার পাঁচ লিটারের বোতল ভেঙে বিক্রি করছেন। তবে তাও সীমিত। অনেকে আবার মজুত করে রেখেছেন ঈদের পর দাম বৃদ্ধির আসায়। বাজারে সয়াবিন তেল না পাওয়া যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। সয়াবিন তেলের খোঁজে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন তারা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, মুদি দোকানের বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রির জন্য তেল লুকিয়ে রাখছেন। বোতলের গায়ে লেখা দামের চাইতে বেশি দামে তেল বিক্রি করছেন।

রাজধানীর ইস্কাটন ঘুরে কোনো দোকানে সয়াবিন তেল পাননি স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহমেদ।

তিনি বলেন, ইস্কাটনের কোনো দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে দোকানেই যাই বলে তেল সাপ্লাই বন্ধ। আর কয়েকদিন পর ঈদ। এ সময় যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে মানুষ কী করে চলবে।

ওই এলাকার রফিক স্টোরের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কোম্পানির কাছে তেল অর্ডার করেছি এক সপ্তাহ আগে। ফোন করলে বলে তেল নেই। অন্যদিকে কারওয়ান বাজার ঘুরে এলাম, সেখানেও তেল নেই। আমরা সাপ্লাই না পেলে কোথা থেকে বিক্রি করব।

কারওয়ান বাজারের খুচরা মুদি বিক্রেতা মোস্তফা বলেন, শুনেছি ঈদের পর দাম নির্ধারণ হবে। তাই বাজারে কোম্পানি তেল সাপ্লাই দিচ্ছে না। অন্যদিকে ডিলারদের কাছ থেকেও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছি।

একই অবস্থা রাজধানীর রাজাবাজার এলাকায়। এখানেও কোনো দোকানে বোতলজাত তেল নেই। যে কয়েকটি দোকানে বিক্রি করছে তারা বোতল ভেঙে বিক্রি করছে।

রাজাবাজারের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, এখানকার কোনো দোকানে শুধু সয়াবিন তেল বিক্রি করছে না। সয়াবিন তেল কিনতে হলে অন্য বাজারও করতে হচ্ছে।

রাজাবাজারের মুদি দোকানি সুমন বলেন, আমাদের কাছে সামান্য তেল রয়েছে। কাস্টমার ধরে রাখতে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে তেলও অল্প পরিমাণে বিক্রি করতে হচ্ছে। সবাই তো পরিচিত। কাউকে বেশি বা কম দিলে তারা মনে কষ্ট পাবে। সরকারের উচিত সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বাজারে মনিটরিং জোরদার করেছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সরবরাহে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews