বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় যে শান্তি ফিরে এসেছে, তার নায়ক এই মোহসীন। নিজের দেশকে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করার মাধ্যমে তিনি যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তাতে তার সুনাম দেশের গন্ডি ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দাদাগিরি’তে সম্মাননা জানানো হয়েছে মোহসীনকে।
‘দাদাগিরি’ সিজন-৯ এর বিশেষ পর্বে অংশগ্রহণ করে তিনি বলেন, ‘দাদাগিরি বেশ জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান। এতে আমি বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি। বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছি। এ সম্মান ব্যক্তিগতভাবে শুধু আমার নয়, এই সম্মান পুরো দেশের।’
দাদাগিরি’ সিজন-৯ এর বিশেষ এই পর্বটি ৮ মে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় প্রচারিত হয় ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলায়।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার যে চেষ্টা তাতে কীভাবে উদ্বুদ্ধ হলেন জানতে চাইলে সময় সংবাদকে তিনি বলেন, মূলত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জলদস্যুদের উৎপাতে অতিষ্ঠ স্থানীয়দের দুঃখ লাঘবেই দস্যুদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য এগিয়ে আসেন তিনি। তার হাত ধরেই একে একে সুন্দরবন থেকে বেরিয়ে আসে মজনু বাহিনী, ইলিয়াস বাহিনী, শান্ত বাহিনী, আলম বাহিনী, সাগর বাহিনী, খোকাবাবু বাহিনী, নোয়া বাহিনী, জাহাঙ্গীর বাহিনী, ছোটরাজু বাহিনী, আলিফ বাহিনী আর কবিরাজ বাহিনী। প্রতিটি আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটেছে মহসীন-উল হাকিমের মধ্যস্থতায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সুন্দরবনকে দস্যুশূন্য করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। আত্মসমর্পণ করা বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছেন মোহসীন। এক সময়ের ত্রাস জলদস্যু বাহিনীর শতাধিক সদস্য এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply