ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হয়েছেন শামীম হক আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইশতিয়াক আরিফ।
বৃহস্পতিবার সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শেষে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
নতুন সভাপতি শামীম হক গত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আর ইশতিয়াক আরিফ গত কমিটিতে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা ভাষাসৈনিক এস এম নূর-উন-নবী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। এর এক বছর পর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
দীর্ঘ সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুর শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে। সম্মেলন ঘিরে শহরে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। শহরজুড়ে ঝোলানো হয় শত শত বিলবোর্ড-ব্যানার।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কাজী জাফরউল্লাহ।
বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল অব. ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও বিলুপ্ত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সভাপতির দৌড়ে যারা আছেন, বর্তমান সভাপতি এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সহ-সভাপতি শামিম হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, ডা. খবিরউদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সাবেক কোতোয়ালির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাব বোষ, যুবলীগ আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শওকত আলী জাহিদ ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অমিমেষ রায়। জানা যায়, বর্তমানের কমিটি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। ২০১৬ সালে ২২শে মার্চ এডভোকেট সুবল সাহাকে সভাপতি ও সৈয়দ মাসুদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বিএনপি ও বহিরাগতদের সংখ্যাই বেশি থাকায় নানা বিতর্ক ছিল তৎকালীন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদর্শের কমিটির কারণে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালান। এতে অনেক রাঘববোয়াল কারাবরণ করছেন। কেউ আছে পালিয়ে, আবার কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।
Leave a Reply