৬ মে থেকে ৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যে। আর গত বুধবার প্রথম একজন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হওয়ার দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে। কানাডা থেকে ফিরে আসার পর দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ম্যাসাচুসেটসের এক ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়ে।
এই রোগ সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে।
জ্বর, গায়ে ব্যথা, আকারে বড় বসন্তের মতো গায়ে গুটি গজিয়ে ওঠাকে আপাতত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতটাই ভয়ংকর যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ তাতে মারাও যেতে পারেন। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যান। এ রোগে প্রাণহানির সংখ্যা খুবই কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায় সংক্রমণের ঘটনা এটি প্রথম।
নতুন এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের দেশগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি ইতালি ও পর্তুগালেও এই রোগ শনাক্ত হয়েছে।
Leave a Reply