২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। ওই দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন এবং সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন। এরপর তিনি টোল দিয়ে সেতু পার হবেন। তিনি জাজিরায় আবার ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টোল প্লাজায় সফটওয়্যার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করছে কি না, তা–ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন দুই প্রান্তের টোল প্লাজা সাজানোর কাজ চলছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন সাধারণ যানবাহন চলাচল করবে না। পরদিন টোল দিয়ে যানবাহন চলতে পারবে।
সেতু বিভাগ সূত্র বলছে, উৎসুক মানুষকে উদ্বোধনের পর সেতুতে কিছু সময় ঘুরতে দেওয়া হতে পারে। তবে সেতুর এপার-ওপার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। মাওয়ার দিকে দুটি বা তিনটি স্প্যান পর্যন্ত এবং একইভাবে জাজিরায় দু-তিনটি স্প্যান পর্যন্ত মানুষকে যেতে দেওয়ার প্রাথমিক চিন্তা আছে। অর্থাৎ দুই প্রান্তের মানুষকে আধা কিলোমিটার বা এর কম পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে। সেতুর বাকি অংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটকে দেবে মানুষকে।
সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সেতুর এক টোল প্লাজা থেকে আরেক টোল প্লাজা পর্যন্ত দূরত্ব ৯ কিলোমিটারের বেশি। অনেকের পক্ষে হেঁটে পুরো সেতু পাড়ি দেওয়াও কঠিন। আবার ফিরে আসতে হলে ১৮ কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হবে। গাড়ি চলাচল বন্ধ বলে এটা প্রায় অসম্ভব। এ জন্য অল্প দূরত্ব পর্যন্ত খোলা রাখার পক্ষে মত বেশি।
Leave a Reply