
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদের মোহাম্মদ মালু ইসলাম ব্যাপারী চারটা বড় গরু নিয়ে চারদিন আগে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন। প্রতিটা গরুর মাংস হবে ৪২ মণের ওপরে, দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা আশানুরূপ দাম না বলায় সেগুলো বিক্রি করেননি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মালু ইসলাম ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘বড় গরুর কেউ লিসে নাকো। যা দাম বলছে তা মুখে বলার লয়’ (বড় গরু কেউ নিচ্ছে না। যা দাম বলছেন তা বলার মতো নয়)।
শুক্রবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় গরুর দাম হঠাৎ করেই পড়ে গেছে। ছোট গরু তুলনামূলক ভালো দামে বিক্রি হলেও বড় গরুর দাম ততটা বলছেন না কেউ।
রাজা নামের একটি গরু নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী থেকে এসেছেন আসমা বেগম। সাড়ে তিন বছর বয়সী ‘রাজা’র ৩০ মণ মাংস হবে বলে দাবি করছেন তিনি। দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তবে কোনো ক্রেতা এখনও আশানুরূপ দাম বলেননি। এত দূর থেকে এত খরচ করে গরুটি গাবতলী হাটে তুলে যেন বিপাকে পড়েছেন আসমা। গরু পরিবহনে ট্রাক ভাড়া বাবদ ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এর সঙ্গে এই চারদিনের আনুসঙ্গিক খরচতো রয়েছেই। অবস্থা এমন হয়েছে যে গরুটি বিক্রি করতে পারলেই যেন মুক্তি পান তিনি! এখন সাত লাখ টাকা দাম পেলেই রাজাকে বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে চান, অথচ ক্রেতা মিলছে না। আসমা বেগম বলেন, ‘১৪ লাখ টাকার বদলে ৭ লাখ দাম বলি। তবুও খদ্দের নাই।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে চারটা বড় গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন নাসির উদ্দীন ব্যাপারী। কয়েকদিন বসে থেকেও একটা গরুও বিক্রি হয়নি। অনেকটা আক্ষেপ করেই নাসির বলেন, ঢাকার মানুষ মাংসের দামে গরু কোরবানি দেবে না। তারা আলুর দামে গরু কোরবানি দিতে চায়।
এদিকে, ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি থাকায় রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে ক্রেতাদের আনাগোনা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। তবে হঠাৎ করেই কমে গেছে বড় গরুর দাম।
Leave a Reply