1. admin@thedailypadma.com : admin :
পদ্মা সেতুতে ৩০ দিনে ৬ লাখের বেশি যানবাহন পারাপার; টোল আদায় ৭৬ কোটি টাকা - দ্য ডেইলি পদ্মা
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জাকসু নির্বাচন: সন্ধ্যা নয়, ফলাফল হতে পারে রাত ১০টার পর জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির বাজার এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বেড়েছে মুরগির দাম কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প আমাদের হাতে নেই: প্রধান উপদেষ্টা জাকসুর ভোট গণনা শুরু, প্রদর্শিত হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

পদ্মা সেতুতে ৩০ দিনে ৬ লাখের বেশি যানবাহন পারাপার; টোল আদায় ৭৬ কোটি টাকা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২
  • ১২১ Time View

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাস পেরিয়েছে। অবশ্য সেতু দিয়ে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয় উদ্বোধনের পরদিন গত ২৬ জুন থেকে। গত ৩০ দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে ছয় লাখের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি টাকার বেশি।

পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে যানবাহন চলাচল ও আয়ের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, প্রথম মাসের চিত্র এর কাছাকাছি। ২০০৫ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে যানবাহন চলাচল ও সেতু থেকে আয়ের একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

পরে ২০১০ সালে নকশা প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ৩৫ বছরে যানবাহনের সংখ্যা ও আয়ের একটা ছক তৈরি করে। এর ওপর ভিত্তি করে ২০১৯ সালের আগস্টে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঋণ চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে আয়, ব্যয় ও মুনাফার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশের বৃহত্তম সেতু পদ্মা সেতু, এটা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। দ্বিতীয় বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সেতু, দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। সেতু দুটি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীন।

দেশের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগের লক্ষ্যে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হয় ১৯৯৮ সালে। প্রথম বছর সেতুটি থেকে ৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর প্রথম এক বছরে যে আয় হয়েছিল, পদ্মা সেতুতে প্রথম মাসেই এর চেয়ে বেশি আয় হয়েছে। অবশ্য বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে পদ্মা সেতুতে টোলের হার প্রায় দ্বিগুণ।

শুরুতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল হার আরও কম ছিল। পদ্মা সেতুর প্রথম এক মাসের বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, এ সেতু দিয়ে দৈনিক গড়ে ২১ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রায় একই হারে যানবাহন চলাচল করে। অবশ্য পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে।

সেতু বিভাগের হিসাবে, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৭০৪ কোটি টাকা। এই সেতু থেকে প্রতিদিন আয় হয়েছে গড়ে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা করে।

শুরুতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল হার আরও কম ছিল। পদ্মা সেতুর প্রথম এক মাসের বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, এ সেতু দিয়ে দৈনিক গড়ে ২১ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রায় একই হারে যানবাহন চলাচল করে। অবশ্য পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে।

সেতু বিভাগের হিসাবে, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৭০৪ কোটি টাকা। এই সেতু থেকে প্রতিদিন আয় হয়েছে গড়ে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা করে।

যেভাবে পরিশোধ করা হবে

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিতে টোলের টাকা ব্যয়ের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেতুর সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণে টোল থেকে আয়ের সাড়ে ৭ শতাংশ ব্যয় হবে।

এরপর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের খরচ মেটাতে হবে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ বছরে ৬৯৩ কোটি টাকা দিতে হবে।

এরপর প্রতি ১০ বছর পরপর সেতুর বড় ধরনের মেরামত করতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চালুর দশম বছরে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করার জন্য ধরা হয়েছে। ২০তম বছরে ব্যয় করা লাগতে পারে এক হাজার কোটি টাকা। ৩০ ও ৪০তম বছরে ব্যয় হবে দেড় হাজার কোটি টাকা করে।

সেতু বিভাগ যে টোল আদায় করছে, তা থেকে প্রথমেই ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কাটা যাবে। অবচয় হবে মোট নির্মাণব্যয়ের ২ শতাংশ হারে। সব ব্যয় শেষে যে টাকা থাকবে, তা থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। আর কিস্তি পরিশোধের পর যে টাকা (মুনাফা) থাকবে, তার ওপর ২৫ শতাংশ হারে আয়কর দেবে সেতু বিভাগ।

ব্যয় মিটিয়ে মুনাফা ত্বরান্বিত করতে প্রতি ১৫ বছর পরপর টোল ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পরিকল্পনামতো টোল বাড়ানো হলে ২০৫৩ সাল নাগাদ একটি প্রাইভেট কার পারাপারে দুই হাজার টাকার বেশি টোল দিতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহনবিশেষজ্ঞ সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতুর দুটি লক্ষ্য ছিল—১. মানুষ ও মালামাল সহজে নদী পারাপার করে সময় বাঁচানো; ২. দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। প্রথম লক্ষ্য ভালোভাবেই পূরণ হচ্ছে। তবে অর্থনীতিতে কী পরিমাণ যোগ হচ্ছে, তা নির্ধারণ করতে সময় লাগবে।

পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা ও টোল আয় সম্পর্কে সামছুল হক বলেন, শুরুতে অনেক আবেগের যাত্রা (ইমোশনাল ট্রিপ) ছিল। তুলনামূলকভাবে ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি। ধীরে ধীরে আবেগের যাত্রা কমে যাবে; তবে সেতুতে যান চলাচল কমবে না।

কর্তৃপক্ষকে এটা মাথায় রাখতে হবে, টোল আয় বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে হলে বাণিজ্যিক যানবাহনের (বাস ও মালবাহী যান) চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে। কোনোভাবেই যেন আবেগের যাত্রা অন্য যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews