
সুব্রত ববি; সিনিয়র করসপোন্ডেন্ট; এন টিভি: নতুন এক সূচনা লগ্নে বাংলাদেশের ক্রিকেট।এইপর্যন্ত খেলা দলটির ১২৮ টি-টোয়েন্টিতে -সাকিব,তামিম, মাহমুদুল্লাহ,মুশফিকের কেউ না কেউ খেলেছেনই।
এই প্রথম একসাথে এই চারজনকে ছাড়া খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে তৈরী নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের তারুন্য নির্ভর বাংলাদেশ।
বিসিবি সাহসী সিদ্ধান্ত নাকি একটু বেশীই ঝুকি নিয়ে ফেলেছে,সেটা দেখতে তরুনরা কেমন করে তাকিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীরা। জিম্বাবুয়ে বেই চ্যালেঞ্জটা খুব কঠিন না। আবার এটাও সত্যি টি-টোয়েন্টিতে এখনো দল হিসেবে মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টসক্লাব,বাংলাদেশের ক্রিকেটের হাতের তালুর মতো চেনা এক মাঠ। দেশের বাইরে বাংলাদেশ এই ভেন্যুতেই সবচে বেশী ম্যাচ খেলছে। সবশেষ খেলার বয়সটা এক বছরের বেশী হয়নি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ে, ভেন্যু-এসব নিয়ে যতটা না মাথা ঘামাতে হচ্ছে,তার চেয়ে টিমম্যানেজমেন্টের ভাবান্তরটা ঢের বেশী কম্বিনেশন নিয়ে। প্রথম ম্যাচের আগে সবচে বড় চ্যালেঞ্জটা কোন এগারোজনকে খেলাবে,সেটা ঠিক করা।
সাকিবের তিনে, চারে মুশফিক আর ৫ এ মাহমুদুল্লাহর জায়গা নির্ধারিত ছিলো। এই তিনজনের অনুপস্থিতিতে শুন্যস্থানটা কাদের দিয়ে পুরন করা হয় সেটা দেখার বিষয়।
এখনো ওপেনিং সল্ট ঠিক করা যায়নি। গত একবছরের বেশী বেশ পরীক্ষা নীরিক্ষা করেও সমাধানে পৌছানো যায়নি।
লিটন ওয়ানডে ও টেস্টে সুপার ফর্মে থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে নিজের ছায়া হয়ে আছেন।
জিম্বাবুয়ে সফরের দলে লিটন, বিজয়, মুনিম শাহরিয়ারের সাথে নেয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য পারভেজ ইমনকে।কাদের দিয়ে ওপেন করাবে দল সেটা ঠিক করাই যেন সবচে কঠিন কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।
লিটনকে ওপেন করানো হয় নাকি অভিজ্ঞ কয়েকজন না থাকায় তাকে তিন-চারে খেলানো হবে সেটা ভাববার বিষয়। ওপেনিংয়ে অভিষেক হতে পারে পারভেজ ইমনের। বিজয়কে সবশেষ ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করানো হলেও তিনি রান পাননি। তারপরও এইসিরিজে আরেকট। সুযোগ তাকে হয়তো দেয়া হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তিনি ওপেন অথবা তিনে ব্যাট করবেন। চার নম্বরে আফিফ ৫ এ অধিনায়ক সোহানের খেলানোর সম্ভাবনাই বেশী। ৬ নম্বরে ব্যাটিং অলরাউন্ডার সৈকতকে খেলানো হয় নাকি বোলিং অলরাউন্ডার মিরাজকে ফেরাবে সেটা ঠিক করাও কঠিন সিদ্ধান্ত টিমের জন্য।
স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ও আরেক স্পিনার নাসুম আহমদের দলে থাকাটা এক রকম নিশ্চতই বলা চলে। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ ৩ পেসার নিয়ে খেলেছিলো। এবারও হয়তো তাই করবে। সেইক্ষেত্রে তাসকিন, মুস্তাফিজ ও শরিফুলই একাদশে থাকার দাবিদার।
এই এগারোজন হলে দলটিতে জেনুইন সাত ব্যাটার যেমন থাকে। তেমনি তিন স্পিনার ও তিন পেসার পাওয়া যাবে।
দল হিসেবে জিম্বাবুয়ে এখন আর প্রবল প্রতিপক্ষ হয়তো না। কিন্তু গত সফরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজেপূর্ন শক্তির দল নিয়েও বেশ চ্যালেঞ্জেই পড়েছিলো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অনায়াসে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে জিম্বাবুয়ে ফিরে এসেছিলো। শেষ ম্যাচে ১৯৪ টার্গেট তাড়া করে সিরিজ জিতেছিলোবাংলাদেশ। সেই সিরিজে দারুন ব্যাটিং করা সৌম্য,নাইম শেখ ও শামীম পাটোয়ারী দল থেকে জায়গা হারিয়েছেন। এবার পরীক্ষা করতেই সিনিয়রদের বিশ্রাম দিয়ে তরুনদের পাঠিয়েছে বিসিবি।দেখা যাক তার শুরুটা কেমনকরে সোহানের দল।
Leave a Reply