1. admin@thedailypadma.com : admin :
আজ পবিত্র আশুরা; বড় ১০ ঘটনার সাক্ষী পবিত্র আশুরা - দ্য ডেইলি পদ্মা
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

আজ পবিত্র আশুরা; বড় ১০ ঘটনার সাক্ষী পবিত্র আশুরা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪০ Time View

আজ মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা। আরবি সনের হিজরি বছরের প্রথম মাসের ১০ মুহাররম পবিত্র আশুরা পালিত হয়। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রায় এক হাজার ৩৪০ বছর আগে এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন।

১০ মহররম হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।

এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।

এ ছাড়া ১০ মহররম আশুরার দিন মহান আল্লাহতায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আবার এদিন কেয়ামত ঘটাবেন। এর বাইরে এদিন হজরত ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন, হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এ রকম অসংখ্য ঘটনায় তাৎপর্যমণ্ডিত এ দিনটি মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করে থাকে।

ঐতিহাসিক নানা ঘটনাপ্রবাহের নির্যাস পবিত্র আশুরা। আরবি ‘আশারা’ শব্দ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। আশারা অর্থ দশ, আর আশুরা মানে দশম। ইসলামি পরিভাষায় আরবি বর্ষপঞ্জি হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলে। এছাড়াও এ মাসের ১০ তারিখে ১০টি বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলেও মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়।

মহররমের ১০ তারিখ বা আশুরার দিন যেসব কারণে মুসলিম উম্মাহর কাছে তাৎপর্যপূর্ণ, তার ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা এখানে উল্লেখ করা হলো।

১) আল্লাহ তাআলা এই দিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তার ইচ্ছায় এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।

২) মানবজাতির পিতা হজরত আদম (আ.)-কে এই দিন জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। আবার এই দিন আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল করেন। এছাড়াও এ দিনে মানবজাতির মা হাওয়া (আ.)-এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে পৃথিবীতে প্রথম সাক্ষাৎ হয় আদম (আ.)-এর।

৩) আল্লাহর নবী নুহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা আল্লাহর নাফরমানি করেছিল। বারবার সতর্ক করার পরও তারা আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায়, আল্লাহর শাস্তি মহাপ্লাবনে নিপতিত হয়। দীর্ঘ প্লাবন শেষে মহররমের ১০ তারিখে তিনি নৌকা থেকে ঈমানদারদের নিয়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন।

৪) আল্লাহর প্রিয়নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে অত্যাচারী বাদশাহ নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি অগ্নিকুণ্ডে ৪০ দিন থাকার পর মহররমের ১০ তারিখ মুক্তি লাভ করেন।

৫) আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ.) ১৮ বছর কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এই দিনে মহান আল্লাহর রহমতে পূর্ণ সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য লাভ করেন।

৬) হজরত ইউসুফ (আ.) ছিলেন ইয়াকুব (আ.)-এর ১২ সন্তানের একজন। ১১ ভাই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে কূপে ফেলে দেয়। মহান আল্লাহর অনুগ্রহে এক বণিক দল তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর বণিকদলের প্রধান মিশরে গিয়ে তাঁকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেন।
পরবর্তীতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এরপর ১০ মহররম দীর্ঘ ৪০ বছর পর তিনি পিতা আইয়ুব (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

৭) আল্লাহ তাআলার আরেক নবী হজরত ইউনুস (আ.)। তিনি জাতির লোকদের প্রতি হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর নদী অতিক্রম করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। পথিমধ্যে মাঝ নদীতে পতিত হন। আর তখন তাকে একটি বড় মাছ গিলে ফেলে। মাছের পেটে তিনি ৪০ দিন ছিলেন। এরপর ১০ মহররম আল্লাহর রহমতে মাছ তাকে নদীর তীরে ফেলে দেয় এবং তিনি মুক্তি লাভ করেন।

৮) বনি ইসরাইলের নবী হজরত মুসা (আ.)। তিনি ফেরাউনের জুলুম থেকে বাঁচতে সঙ্গী-অনুসারীসহ অন্যত্র চলে যান। নীল নদ পার হয়ে নিরাপদে পৌঁছে যান। আর অত্যাচারী ফেরাউন তার দলবলসহ নদীরে পানিতে ডুবে মারা যায়।

৯) ঈসা (আ.)-কে তাঁর জাতির লোকেরা হত্যা করার চেষ্টা করে। মহররমের ১০ তারিখ মহান আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে নেন।

১০) কারবালার মর্মান্তিক বিয়োগান্তক ঘটনা। মহররম মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর নবী (স.)-এর প্রিয় নাতি হোসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।

মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি।

মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে হোসনি দালান ইমামবাড়া হতে শোকের মাতম অর্থাৎ তাজিয়া মিছিল বের করা হবে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (র:)-কে কারবালা-প্রান্তরে হত্যার স্মরণে মুসলমান সম্প্রদায় বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায় মহরম মাসে তাজিয়া মিছিল বের করে।

এদিকে, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ইমামবাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews